2020







বিগত ১৪ দিন ধরে জর্ডানের ক্লাসিক ফ্যাশান এ্যাপারেলস্ আল-হাসান-এ বেতনের মজুরীর জন্য গার্মেন্টসটির পুরুষ শ্রমিকরা (ভারতীয় নাগরিক) আন্দোলন শুরু করে এবং পরবর্তীতে স্থানীয় ডাস্টবিন থেকে গার্মেন্টসটির বাংলাদেশী একজন নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার হয় বলে আন্দোলনকারী মহিলা শ্রমিকরা জানায়। বিগত ১৪ দিন ধরে বেতন আদায়ের আন্দোলনের কারনে শ্রমিকরা কাজ না করে হোস্টেলে যার যার রুমে থেকে কর্ম বিরতী আন্দোলন শুরু করে। গত দুইদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকদের বলে যে, তোমাদের বেতন পরিশোধ করা হবে, তোমরা ৩০ হাজার শ্রমিক আছো কাজে আছো অন্যথায় ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবে।বাংলাদেশী প্রবাসী গার্মেন্টস শ্রমিকরা মালিক পক্ষের কথায় বিশ্বাস করে ২২/১১/২০২০ তারিখ রবিবার তারা কর্মস্থলে কাজে যোগদানের জন্য গেলে উক্ত ফ্যাক্টরীর শ্রীলংকান স্টাফরা নারী শ্রমিকদের উপর শারীরিক অত্যাচার-নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশী প্রবাসী নারী শ্রমিকরা। তারা তাদের একটি ভিডিও Bd public information প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক এর ফেসবুক পেজে প্রচারের মাধ্যমে এই অভিযোগের কথা জানায় এবং বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নারী শ্রমিক বলে কি আমাদের লাশ ডাস্টবিনে পরে থাকবে? আমরা এই নির্যাতনের বিচার চাই”। তারা আরো বলে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের নিরাপত্তা চাই।  






এবছর করোনা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য এবং অনুরোধ রক্ষার্থে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যও কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও সাংসদ মমতাজ।। তবে বছরের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও চলচ্চিত্রের কোনো গানে কণ্ঠ দেওয়া হয়নি এই সংগীতশিল্পীর। এ বছর প্রথম সিনেমার কোনো গান গাইলেন তিনি। এটি ‘রাত জাগা ফুল’ সিনেমার টাইটেল গান। গানের কথা লিখেছেন ছবির পরিচালক মীর সাব্বির আর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী।

মমতাজ জানান, সিনেমায় তিনি সর্বশেষ গেয়েছিলেন মাসুদ পথিক পরিচালিত সরকারি অনুদানের ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবিতে। নতুন ছবিটিও সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। মমতাজ বলেন, ‘এ বছর কয়েকটি ছবির গানে কণ্ঠ দেওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন স্বাভাবিকে এসে গানটি গাওয়ার প্রস্তাব পাই। আমি সাধারণত যে ধরনের গানে কণ্ঠ দিই, এটি তার চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। ইমন বরাবরই চমৎকার সুর করে। আর গানের কথাও বেশ মনে ধরেছে। গানটি গাওয়ার পরে তৃপ্তি পেয়েছি।’
সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন বলেন, ‘সাধারণত যে ধরনের গানে মমতাজ আপাকে শ্রোতারা পেয়ে থাকেন, এটি তেমন গান নয়। আশা করছি আপার কণ্ঠে গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’

‘রাত জাগা ফুল’ সিনেমার কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মীর সাব্বির। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মমতাজের গাওয়া নিয়ে মীর সাব্বির বলেন, ‘নিজের পরিচালিত প্রথম সিনেমায় মমতাজ আপার মতো গুণী সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন, এটা ভীষণ আনন্দের। আমি গানটি ঘোরের মধ্যে লিখেছি। চমৎকার সুর ও সংগীতায়োজনের জন্য ইমন চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ 

 



গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে এক চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্কে হ্যাকিং করতে পারে। সেজন্য ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন লেনদেনব্যবস্থা ও এটিএম বুথে নজরদারি বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। কোনো কোনো ব্যাংক রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন রুপালী ব্যাংক রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এটিএম বুথ বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়  অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম এর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরই আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ 

এর আগে গত আগস্টে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অনেক ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করে। আবার কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন বন্ধও করে দেয়। 

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে তথ্য আসে, ‘বিগল বয়েজ’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলা চালাতে পারে। গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার জন্য চিঠি দেয়। চিঠি পাওয়ার পর সব ব্যাংকই বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। তবে কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি। এই গ্রুপই নতুন করে হামলা চালাতে পারে বলে তথ্য এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকগুলো।

 


"আন্তর্জাতিক সমঝোতার রীতি নীতি ভেঙে পড়ছে।" যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 

তিনি আমেরিকার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছেন এবং বলেছেন যে সেই কাজটা তিনি খুব দ্রুতই করবেন।

"নষ্ট করার মতো সময় নেই," এবছরের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক এক সাময়িকীতে একথা লিখেছেন জো বাইডেন।

এধরনের বিষয়ে কাজের যে লম্বা তালিকা জো বাইডেনের হাতে রয়েছে তার একটি হচ্ছে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তিতে পুনরায় যোগ দেওয়া। জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ নামের এই চুক্তিটি সই হয়েছিল ২০১৫ সালে।

এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করা। এতে সই করেছিল ইরান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ- চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হয় এই সমঝোতাকে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর পরই এই চুক্তিটি বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পক্ষগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের মে মাসে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটুকু করেই থেমে থাকেন নি, পুরো চুক্তিটি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যেও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন।

পরের দু'বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ দিয়ে গেছেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু তারপরেও ইরানকে দমানো সম্ভব হয়নি। বরং তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন সেগুলো অর্জনের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

ইরানি নেতারা বলছেন, তাদের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জো বাইডেনের জন্য ইরানের হিসাব মেলানো কঠিন হবে।

জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেন কি পরিস্থিতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন? বর্তমান সময় এবং আমেরিকার বিভক্ত রাজনীতির মধ্যে তার পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? "তার কৌশল খুব পরিষ্কার। কিন্তু সেটা করা সহজ হবে না," বলেছেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের ইরান বিশেষজ্ঞ আনিসে বাসিরি তাবরিজি।

'ফিরে যাওয়া নয়'

গত দু'বছর ধরে ইরানের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো থেকে জো বাইডেন বাড়তি কিছু সুবিধা পেতে পারেন, যদি তিনি সেগুলো অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।এবিষয়ে এখনও তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। শুধু বলেছেন চুক্তি অনুসারে ইরানকে কোন কোন বিষয় মেনে চলতে হবে। জানুয়ারি মাসে জো বাইডেন লিখেছিলেন, "তেহরানকে চুক্তিটি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।"

কিন্তু ইরানকে সেটা করতে বাধ্য করানোও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চুক্তি থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের বের হয়ে যাওয়ার পর ইরান তার নিজের কাজে ফিরে যেতে শুরু করেছে।

পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজর রাখে জাতিসংঘের যে সংস্থাটি সেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ তাদের শেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে চুক্তিতে ইরানকে যতোটুকু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তার চেয়েও ১২ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে।

সংস্থাটি এও বলেছে ইরানকে যে মাত্রায় (৩.৬৭%) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তারচেয়েও বেশি মাত্রায় সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে।

নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে ফিরে গেছে।

অল্প মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বেসামরিক নানা কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এর বিশুদ্ধতার মাত্রা বেশি হলে সেটা পরমাণু বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে আর সেটা নিয়েই পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ।

কিন্তু ইরানের কর্মকর্তারা বার বার বলছেন, প্রয়োজন হলে তারা আবার পুরনো চুক্তিতে ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু কথা হল এর মধ্যে তারা গবেষণায় যে অগ্রগতি ঘটাবে সেটা তো আর মুছে ফেলা যাবে না। "আমরা তো পেছনে যেতে পারবো না," বলেন আলী আসগর সুলতানিয়েহ, জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থায় ইরানের সাবেক দূত।

তিনি বলেন, "এখন আমরা একটা পয়েন্ট থেকে আরেকটা পয়েন্টে পৌঁছে যাচ্ছি এবং আমরা এখন এই জায়গাতেই আছি।"

রাজনৈতিক চাপ

এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঝড় সামাল দিয়েছে ইরান। এখন তাদের নিজেদেরও কিছু দাবি আছে। ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়াই যথেষ্ট হবে না।

ইরান আশা করছে, আড়াই বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের যেসব অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সেটা পুষিয়ে নিতে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।ইরানে আগামী বছরের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে সংস্কারবাদী ও কট্টরপন্থী শিবিরগুলো এবিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরতে শুরু করেছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি মুদ্রার মূল্য কমে গেছে। বেড়ে গেছে মুদ্রাস্ফীতি।

ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার মাধ্যমে জো বাইডেন কি প্রেসিডেন্ট রুহানির সম্ভাবনা চাঙ্গা করার চেষ্টা করবেন? তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নাসের হাদিয়ান-জ্যাজি বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের আগেই জো বাইডেনকে এবিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।

"আনুষ্ঠানিক বার্তা দিয়ে তাকে বলতে হবে কোন ধরনের শর্ত ছাড়াই খুব দ্রুত তিনি জেসিপিওএ চুক্তিতে ফিরে যাবেন। এটুকুই যথেষ্ট হবে।"

তিনি বলেন, মি. বাইডেন যদি এটা করতে ব্যর্থ হন তাহলে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওই অঞ্চলের ষড়যন্ত্রকারীরা চুক্তির বিষয়ে এই দুটো দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুন-প্রতিষ্ঠায় সমস্যা তৈরি করতে পারে।তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে জো বাইডেনের এখানে কিছু করার ক্ষমতা হয়তো সীমিত। জেসিপিওএ চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় অবস্থান পুরোপুরি বিভক্ত। বেশিরভাগ রিপাবলিকান এই চুক্তির বিরোধী।

এছাড়াও ওয়াশিংটনে ক্ষমতার ভারসাম্য কী হবে এবং নতুন প্রশাসন কতোটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে সেটা জানুয়ারি মাসে সেনেটের বাকি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।

নতুন জোট

জেসিপিওএ চুক্তিটি কখনো কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিল না। এর সঙ্গে আরো যেসব দেশ যুক্ত রায়েছে- রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ভূমিকা রয়েছে এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে।বিশেষ করে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের দেশগুলো এনিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও চুক্তিটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে।ফলে এই তিনটি দেশ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় ফিরে আসার সমঝোতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।তবে লন্ডন, প্যারিস এবং বার্লিনে অনেকেই মনে করছেন বিশ্ব পরিস্থিতি আর আগের জায়গাতে নেই এবং পুরনো চুক্তিতে যে খুব সহজেই ফিরে যাওয়া যাবে সেই সম্ভাবনা কম।

"ইউরোপের তিনটি দেশ এখন জেসিপিওএ চুক্তির পরবর্তী সমঝোতার ওপর জোর দিচ্ছে," বলেন আনিসে বাসিরি তাবরিজি।

ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

তিনি বলেন, এরকম কোন চুক্তি হলে ইরানের আঞ্চলিক তৎপরতা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাসহ দেশটির পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করে দেওয়ার জন্যেই সেটা করা হবে। কারণ বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

কিছু আঞ্চলিক শক্তি, যারা জেসিপিওএ চুক্তির বিরোধিতা করেছিল, যেমন ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন- তারা সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কিছু চুক্তিতে সই করেছে।

এসব সমঝোতা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায়। ফলে এসব দেশ কী চায় সেটা উপেক্ষা করাও এখন কঠিন হবে।

সম্প্রতি তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে ওয়াশিংটনে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা বলেছেন, "আমরা যদি আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপার নিয়ে সমঝোতা করতে চাই তাহলে আমাদেরকে সেখানেও যেতে হবে।"

 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী জো বাইডেনকে টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার রাতে টুইটে মোদি জানিয়েছেন, ফোনালাপে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর টেলিভিশন নেটওয়ার্কে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের খবর আসার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি। 

এবার বাইডেনকে ফোন করে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। তার এই জয় যুক্তরাষ্ট্রের উদার গণতান্ত্রিক শক্তি এবং ঐতিহ্যের প্রমাণ।

ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি। টুইটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, হ্যারিসের সাফল্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান সম্প্রদায়ের কাছে গর্বের বিষয়।

বাইডেনের এ জয়কে তিনি দর্শনীয় হিসেবে উল্লেখ করেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের প্রতি বাইডেনের ইতিবাচক ভূমিকার কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক শক্তিশালী করে তুলতে আপনার অবদান গুরুত্বপূর্ণ ও অমূল্য ছিল। ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আরও একবার আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’

মোদি-বাইডেন আলোচনায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি আগামী দিনেও বজায় রাখার অঙ্গীকারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা, কোভিড-১৯ স্থান পেয়েছে।


শীতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি আছে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও আসন্ন শীতে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও শীতকালে সংক্রমণ বৃদ্ধির যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

আসন্ন শীত মৌসুমে যাতে করোনা বাড়তে না পারে সে জন্য ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশে প্রবেশের জায়গাগুলোতে স্ক্রিনিং অব্যাহত রয়েছে। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন কোটি ভ্যাকসিন আমদানির লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবা, কমিউনিটি অংশগ্রহণ ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি দলের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে আপৎকালীন সহায়তা হিসেবে ২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, করোনার টিকা ও চিকিৎসার সামগ্রী সংগ্রহের জন্য এডিবি আরও ৩০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে। করোনাকালীন কর্মসংস্থানের জন্য বিশ্বব্যাংক ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার দিয়েছে। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে তৈরি পোশাক খাতের জন্য ১১০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পাওয়া গেছে। জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের জন্য ১১৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা হিসেবে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কৃষির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত সত্ত্বেও প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনয়নের নীতি গ্রহণ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে, ফলে খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে। এ ছাড়া সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল।

সরকারি দলের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৪২টি পরিবারের পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৩টি পরিবারকে, জমি আছে ঘর নেই এমন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৭৯টি পরিবারকে এবং পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৬০০টি পরিবারের গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে ও তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।


সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তার জন্য গানম্যান নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজ সাংবাদিককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাকিব আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে গেলে তাঁর সঙ্গে বন্দুক হাতে এক নিরাপত্তাকর্মীকে দেখা গেছে।

কয়েক দিন আগেই সাকিবকে ফেসবুক লাইভে এসে হত্যার হুমকি দেন মহসিন তালুকদার নামে সুনামগঞ্জের এক ব্যক্তি। গতকাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মহসিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। সেটারই ধারাবাহিকতায় সাকিবকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

এ ব্যাপারে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এটা বাড়তি নিরাপত্তার জন্য। যেহেতু একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জিনিস এসেছে, তাই সাময়িকভাবে একটু সাবধানতা অবলম্বন করা।

দেশে ফেরার পর থেকেই সাকিব অনুশীলনের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ৫ নভেম্বর রাতে ঢাকায় পা রেখে পরদিন সকালেই গুলশানে সুপারশপ উদ্বোধন করেছেন জনসমাগমে গিয়ে। করোনার মধ্যে মানুষের ভিড়ে যাওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরপর কলকাতায় গিয়ে সাকিবের পূজা উদ্বোধনের খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। ফেসবুকে সাকিবকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এ কারণেই। সাকিব অবশ্য নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় পূজা উদ্বোধনের কথা অস্বীকার করেছেন।

বাংলাদেশে ক্রিকেটের কারও সঙ্গে গানম্যান দেওয়া অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে হোলি আর্টিজেনে জঙ্গি হামলার পর জাতীয় দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ অন্য বিদেশি কোচদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক গানম্যান নিয়োগ করেছিল বিসিবি।

 


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে এক অনুষ্ঠানে  লালবাগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় রাত আটটার পর দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে। তবে কবে থেকে এটি কার্যকর হবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি ডিএসসিসির মেয়র।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় শহরটাকে নিয়ে আসতে চাই। আমরা রাত আটটার মধ্যে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ করতে চাই।’

তিনি আরো  বলেন, ‘বহির্বিশ্বে দেখি একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের পরে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচটা, ছয়টা, সাতটা, আটটা, নয়টা—বিভিন্ন ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক সেই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। আমরা মনে করি ঢাকাবাসীর জন্য ঢাকা শহরের দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাত আটটার মধ্যে বন্ধ করলে আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রম একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে পারব।’

মেয়র বলেন, ‘আটটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করা হলে ঢাকা শহর যানজট থেকে অনেকটা মুক্তি পাবে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারব, সন্তানদের সময় দিতে পারব, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’  

মেয়র আরও বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের যদি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে সব পিতামাতার সন্তানের সঙ্গে সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক সময় সেটা ভুলে যাই, সেটা খেয়াল করি না।’  

মেয়র বলেন, ‘আমরা ক্লান্ত হয়ে বাসায় যাই, নিজেদের মতো করে হয়তোবা আমরা ঘুমিয়ে পড়ি বা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। কিন্তু সন্তানদের সঙ্গে সময় দেওয়া যেকোনো জাতি গঠনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং সবকিছু বিবেচনা করে আমরা রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য সময় নির্ধারণ করেছি। এটি কার্যকর করার জন্য আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এর আগে সকালে আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ তাপস। এ সময় তিনি বলেন, আজকের এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে মার্কেটের কাজ আরম্ভ করছি। এখানে ক্ষণ গণনাফলক থাকবে। আমরা নির্দিষ্ট দুই বছর সময়ের মধ্যে যাতে কাজটি শেষ করতে পারি, সে জন্য এখানে আমরা ক্ষণ গণনাফলক দিয়ে দেব।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি সেলিম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 


রাজশাহী নগরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় ‘রাধার ভিটা’ নামের একটি কবরস্থানে আজ বুধবার কবরস্থান সংস্কার করতে গিয়ে মিলল মাটির তৈরি দুটি পুরোনো ভাড় বা মটকা। এর মধ্যে একটি বড়, অন্যটি ছোট। মাটির নিচে পাওয়া মটকায় সোনার মোহর থাকতে পারে ভেবে কবরস্থানে ভিড় করতে থাকে স্থানীয়রা। একপর্যায়ে ভিড় ঠেকাতে পুলিশ আসে। কৌতূহল নিয়ে পুলিশের সদস্যরাও দেখতে থাকেন, কী আছে এই মটকাগুলোতে। তবে শেষ পর্যন্ত সবার হতাশ হতে হলো। মাটি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া গেল না।

রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে তিনি কবরস্থানে মাটি কাটাচ্ছিলেন। এক জায়গা থেকে মাটি তুলে সব জায়গা সমান করা হচ্ছিল। প্রথম যেখানে গর্ত খোঁড়া শুরু হয়, সেখানে এক ফুট মাটি কাটতেই বড় পাত্রটা পাওয়া যায়। সেটির মুখে ঢাকনা ছিল। ঢাকনা দেখে তাঁর সন্দেহ হয় ভেতরে কিছু থাকতে পারে। তিনি তখন পুলিশ ও প্রশাসনকে জানান। ছোট আরেকটি মটকা পাওয়া যায়। 

আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ঢাকনা সরিয়ে শাবল দিয়ে মাটি বের করা শুরু হয়। শুরুতে শুধু মাটিই পাওয়া যাচ্ছিল। তখন সবাই ধারণা করছিলেন, ভেতরে মোহর রেখে ওপরে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। নিচের দিকে যেতেই কাদা মাটি বের হতে লাগল। মাটি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া গেল না। সকাল আটটা থেকে শুরু করে বেলা সাড়ে ১১টায় মাটি বের করা শেষ হয়।

রাজশাহী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, মাটির মটকা দুটিতে গুপ্তধন আছে ভেবে মানুষ ভিড় করেছিলেন। কিন্তু মাটি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। মাটি বের করার সময় বড় পাত্রটি ভেঙে গেছে। আর ছোটটি আগে থেকেই ভাঙা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পাত্র দুটি অনেক পুরোনো। মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল।


করোনাকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন স্কুল-কলেজ) শুধু নির্ধারিত টিউশন ফি আদায় করতে পারবে। এর বাইরে অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনর্ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি আদায় করতে পারবে না।অন্য কোন ফি আদায় করা হয়ে থাকলে, তা ফেরত দিতে হবে অথবা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। একইভাবে অন্য কোনো ফি যদি ব্যয় না হয়ে থাকে, তাহলে তা–ও ফেরত দিতে হবে অথবা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

আজ বুধবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে পড়েন, তাহলে তাঁর সন্তানের টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবে। আর কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন কোনো কারণে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যত্নশীল হতে হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় আগের মতো সব ধরনের যৌক্তিক ফি আদায় করা যাবে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি আছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকেরা করোনাকালে শিক্ষা ফি কমানোর দাবি করে আসছেন। কিন্তু অভিভাবকেরা বলে আসছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের অনুরোধ রাখছে না।

রাজধানীর মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের একজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, তাঁর সন্তান প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। এর জন্য গত জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর—এই চার মাসের জন্য টিউশন ফি মোট পাঁচ হাজার টাকা ছাড়াও আইসিটি বাবদ ২০০ টাকা, অনলাইন হোম টেস্ট বাবদ ২০০ টাকা এবং মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ফি বাবদ ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ রকমভাবে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বিভিন্ন ধরনের ফি নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই অভিভাবকেরা ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন। আবার প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ফি না নিলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেবেন কীভাবে?

এ অবস্থায় মাউশি নির্দেশনা দিল। মাউশির বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিয়ে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিভাবকদের মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিছু অভিভাবক বলছেন, একদিকে স্কুল বন্ধ ছিল আর অন্যদিকে করোনার সময় তাঁরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অতএব তাঁদের পক্ষে টিউশন ফি দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও স্কুল রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রতি মাসে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতেই হয়।

মাউশি বলছে, এ অবস্থায় অভিভাবকদের অসুবিধার কথা ভাবতে হবে, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে না যায় কিংবা বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন যেন সংকটে না পড়ে, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের শুরুতেও যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন কোনো ফি, যেমন টিফিন, পুনর্ভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন ফি নেবে না, যা ওই নির্দিষ্ট খাতে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করতে পারবে না।

 


বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবা–সংক্রান্ত চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়ে দিয়েছেন।

সচিবালয়ে আজ বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের সেবা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জানান, বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরিভিত্তিক নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছুদিনের মধ্যেই একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনও করা হবে। এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 সভায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল 

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান ক্লিনিক থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে করার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে মন্ত্রী একমত পোষণ করেন।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রত্যাশা করে অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে তিনি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 


মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক আজ বুধবার দাবী করে তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। এই টিকায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি বলে দাবি ফাইজারের।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এই কথা জানান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যায়ে থাকা পরীক্ষায় থাকা করোনার টিকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে গেল ফাইজার। ফাইজার বলছে, তাদের এই টিকা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ কার্যকর।

মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে এই টিকা তৈরিতে কাজ করছে জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘বায়োএনটেক’। বায়োএনটেক বলছে, এই টিকা জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদনের জন্য তারা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদনের পরিকল্পনা করছে।

ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, নতুন এই ফলাফল টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় তাদের আট মাসের যাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তারা এমন এক টিকা তৈরি করার প্রক্রিয়ায় আছেন, যা ভয়াবহ করোনা মহামারি ঠেকাতে বিশেষভাবে কার্যকর হবে।  

ফাইজারের এই টিকা একজন মানুষের শরীরে দুই ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। যদি এফডিএ এই টিকার অনুমোদন দেয়, তাহলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন এই প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ডোজ পর্যন্ত টিকা সরবরাহ করতে পারবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ টিকার এই সরবরাহ বেড়ে গিয়ে ১৩০ কোটি ডোজ পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে। 

তবে চলতি বছর উৎপাদিত টিকার অর্ধেকের মতো শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সরবরাহ করা হবে।

ফাইজার ৯ নভেম্বর জানিয়েছিল, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তখন জানানো হয়েছিল। সেই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি মডার্না ইনকর্পোরেশন গত সোমবার জানায়, তাদের তৈরি টিকা করোনা ঠেকাতে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।


   

ইং ২৮/১০/২০১৯ তারিখ দুপুর অনুমান ১:৪৫ মিনিটে রাজবাড়ীর পাংশা থানার অন্তর্ভূক্ত যশাই ইউনিয়নের জয়গ্রাম ও খালকুলা গ্রামের পার্শ্ববর্তীগ্রাম পূর্ববালিয়া গ্রামের মোহাম্মাদ মিল ঘরের  উত্তর পূর্ব পাশে অবস্থিত মোঃ হোসেন পরামানিক এর পুকুরে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পুকুরের পানিতে পড়ে এবং পুকুরের পানিতে পড়া ইলেক্ট্রিক তারের মাধ্যমে প্রবাহিত বিদ্যুৎ সমস্ত পুকুরের পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ সময় পুকুরে গোসল করতে নামা ৪ (চার) জন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। বিদ্যুৎপৃষ্টদের মধ্যে ০১ (এক) জন বয়স্ক মহিলা ও ০৩ (তিন) জন শিশু। আশ্চর্যজনক ভাবে ৪ জনের মধ্যে একজন শিশু প্রাণে বেঁচে যায়। বাকি  ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় পাংশা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই মর্মান্তিক ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় সমবেদনা জানাতে পাংশা থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ও টিএনও মহোদয় এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পাংশা পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ঘ্টনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং ঘটনাটি তদন্ত করেন। স্থানীয় ভাবে জানা  গেছে পুকুরের পূর্ব পার্শেরনিবাসী দুলাল পরামানিক গাছ কাটতে যেয়েই এই দূর্ঘটনা ঘটে। গাছ কেটে গাছের গুড়ি বৈদ্যুতিক  তারের উপর পড়লে সর্টসার্কিট হয়ে পুকুরের উপর থেকে প্রবাহিত হওয়া বৈদ্যুতিক তারটি পুড়ে গিয়ে পুকুরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়, ছিড়ে পড়া বৈদ্যুতিক তারের একপ্রান্তে থাকা বিদ্যুৎ প্রবাহ পুকুরের পানিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুকুরে গোসল করতে থাকা অবস্থায় স্থানীয় মিঠুর মা জাহানারা বেগম বয়স অনুমান ৪৫ বছর, মিঠুর মেয়ে মিথিলা বয়স অনুমান ৯ বছর, সাল্লেক ওরফে সারলেক মোল্লার মেয়ে শিউলি বয়স অনুমান ১৩ বছর ও আলমের মেয়ে মিতু বয়স অনুমান ১৩ বছর মোট ৪জন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। এদের মধ্যে আলমের মেয়ে মিতু আল্লাহর ইচ্ছায় প্রাণে বেঁচে যায় এবং বাকি ৩ জনের মৃত্যু হয়। শিশু মিতু প্রাণে বেঁচে গেলেও উক্ত দুর্ঘটনায় হারিয়ে ফেলে তার মা জাহানারা বেগমকে।

                                                                        প্রতিকি ছবি
 

খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় কুলটিয়া গ্রামের জনৈক অজিয়ার রহমান মোল্লার (৪০) লালসার শিকার হয়ে ১২ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত অজিয়ারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। সে কুলটিয়া গ্রামের বাহের মোল্লার ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল কবির বলেন, অভিযুক্ত অজিয়ার রহমান মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসা ছাত্রীর ফুফা অভিযোগ করে বলেন, মেয়েটির বাবা প্রবাসী। মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যাওয়ায় বৃদ্ধা দাদীর কাছে থাকে। প্রতিবেশী অজিয়ার গত চার মাস ধরে মেয়েটিকে প্রথমে ফুসলিয়ে ও পরে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পর জানতে পারি মেয়েটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে গত সোমবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষক অজিয়ারের দুইটি মেয়ে আছে।




করোনা সংকটের কারণে চারটি এয়ারলাইন্স বাদে দেশের সব বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২১ মার্চ) রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ তথ্য জানায়।


বেবিচক জানায়, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ক্যাথে প্যাসিফিক (হংকং) ও থাই এয়ারওয়েজ। এছাড়া সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেবল যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নামবে।

১০ দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। দেশগুলো হচ্ছে- কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত। এসব দেশ থেকে কোনও ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে পারবে না।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যে দেশগুলো মোটামুটি নিরাপদ মনে করেছি, সেখান থেকে ফ্লাইট আসবে। বাকি সব বন্ধ।
প্রকাশ.কম: সংগৃহীত।





নিউজ ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালি গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২ জনে দাঁড়ালো। শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবারই দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যায়। এর আগে ইতালিতে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়।

এছাড়া ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বেড়েছে। এখন দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির লম্বারডি অঞ্চলে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে ভয়াবহ। অঞ্চলটিতে আক্রান্ত ২২ হাজারের মধ্যে ২৫শ’ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৫ হাজার ১শ’ ২৯ জন সুস্থ হয়েছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এরপর বিশ্বের ১৫০ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এই করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।

                                                             চৌধুরী তাসনীম হাসীন




করোনাভাইরাস বর্তমান সময়ের ভয়ঙ্কর একটি শব্দ। এতে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। থমকে গিয়েছি আমরাও। তবে এর মাঝেও মেনে চলতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং খুঁজে নিতে হবে প্রতিরক্ষার উপায়। পুষ্টিগত দিক দিয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা খুব সহজেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি। দিনের শেষে যা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে করোনাসহ যেকোনো ভাইরাস জাতীয় অসুস্থতা থেকে।

ভিটামিন এ, সি, কে এবং ফলেই সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে পারে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অর্থাৎ দৃঢ় করবে আমাদের  প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম)। রঙিন শাকসবজি এবং টক জাতীয় বেশি ফল যার অন্যতম উৎস। বেদানায় আছে ক্ষমতাসম্পন্ন anthocyanin  যা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ গরম পানি প্রতি ঘণ্টায় পান করা জরুরি। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে মধু ও আদা যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াবে এবং পাশাপাশি anti-inflammatory এবং antioxidant হিসেবে কাজ করবে।

পর্যাপ্ত hydration-এর জন্য কলা ও ডাবের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। anti-inflammatory গুণাবলি পরিলক্ষিত হয় রসুনে। যা মুরগি অথবা সবজির স্যুপে ব্যবহার করা যেতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে অবশ্যই দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রতি কেজি ওজনের জন্য যা হবে ১-১ ১/২ গ্রাম। এ সময়ে অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগী একটি সুষম খাদ্য তালিকা মেনে তাদের রোগের ব্যাপ্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা।
কাঁচা মাছ-মাংস, শাকসবজি ধরার পরে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে। মাছ মাংস এবং ডিম যথাযথ পরিমাণ তাপমাত্রায় পরিপূর্ণ সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না জরুরি। উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চললে পুষ্টিগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এ স্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

লেখক : চিফ নিউট্রিশনিস্ট, ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড।

                                            খুলনায় ৩৩ প্রবাসী ‘হোম কোয়ারান্টাইনে’ - প্রতীকী






করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুলনায় ‘হোম কোয়ারেনটাইন’ জোরদার করা হচ্ছে। বিদেশে ফেরত ব্যক্তিদের কার্যকর ‘হোম কোয়ারেনটাইন’ নিশ্চিত করতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ৩০ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি নিজ গৃহে কোয়ারেনটাইনে আছেন এবং খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

খুলনা বুধবার বিকেলে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভায় এসকল তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়।


তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, কোয়ারেনটাইনের নিদের্শনাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জনবহুল স্থানে বিচরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়িতে কোয়ারেনটাইনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে সরকারিভাবে স্থাপিত কোয়ারেনটাইনে আশ্রয় নিতে হবে। সকল ব্যবস্থার সঠিক প্রতিপালন নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিম গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। হোম কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি এ কমিটি প্রতিদিন দুইবার করে পর্যবেক্ষণ করবে। এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরা সুলতানাসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

                                                                - ছবি : সংগৃহীত


পেঁয়াজ নেই, এমন কোন রান্না ঘর হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ কোন রান্না শুরু করার আগে, কড়াইতে তেল দেয়ার পরপরই সাধারণত: যে উপাদানটি ব্যবহার করা হয় সেটি পেঁয়াজ। শুধু অন্য রান্নার অনুষঙ্গ নয়, কাঁচা খেতেও পেয়াজ বেশ সুস্বাদু। এছাড়া সরাসরি কাঁচা পেঁয়াজ, ভর্তা, আচার এবং সালাদ হিসেবেও পেঁয়াজের কদর কম নয়।

পেঁয়াজের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণও। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই চাহিদা রয়েছে পেঁয়াজের। তবে, বেশ কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে ঝাঁজ বাড়ছে।


রোববার, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে ঘণ্টার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেয়াজের দাম।

পেঁয়াজ আসলে কী?
পেঁয়াজ আসলে কোন সবজি নয়। এটি আসলে একটি মশলা জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম এলিয়াম সেপা। এই বর্গের অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে রসুন, শ্যালট, লিক, চাইব এবং চীনা পেঁয়াজ। রসুনের মতোই এর গোত্র হচ্ছে লিলি।

পেঁয়াজ কোথায় উৎপন্ন হয়?
এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই উৎপাদিত হয়। তবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় ভারত এবং চীনে।



শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, 'সেসব দেশগুলোতেই প্রধানত পেঁয়াজ হয় যেখানে বেশি বৃষ্টি হয় না। পাশাপাশি হাল্কা শীত থাকে। সেজন্যই বাংলাদেশে পেঁয়াজ হয় শীতকালে। সেসময় দামও কম থাকে'।

বাংলাদেশে কী ধরণের পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়?
বাংলাদেশে যে সব এলাকায় শীত বেশি থাকে সেসব এলাকায় পেঁয়াজ বেশি জন্মায়।

জামাল উদ্দিন বলেন, "বাংলাদেশ এলিয়াম সেপা বা পেঁয়াজ যা মূলত একটি বাল্ব সেটাই উৎপাদিত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের পেঁয়াজ তেমন বড় হয় না"।

আকারে বড় না হলেও বাংলাদেশের পেঁয়াজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি ঝাঁজালো বেশি হয়। কারণ এতে এলিসিনের মাত্রাটা বেশি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য আমাদের রান্নাটাও অনেক বেশি মজা হয়।



হর্টিকালচারের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় সারা বছর পেয়াজ উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পলি-টানেল বা গ্রিন হাউজ তৈরি করে পেঁয়াজ উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পেঁয়াজের খাদ্যগুণ কী কী?
পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম বলেন, পেঁয়াজ আসলে মশলা জাতীয় খাবার। এর মূল উপাদান পানি, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। তবে পেঁয়াজে পানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি-প্রায় ৮৫ শতাংশ। এছাড়াও পুষ্টিগুণ বলতে গেলে, ভিটামিন সি, বি এবং পটাসিয়াম থাকে।

তিনি বলেন, "পেঁয়াজের খোসা ছাড়ালে যে গাঢ় বেগুনি রঙের একটি আস্তরণ পাওয়া যায় এতে বেশি পরিমাণে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ নিবারণ করে এমন উপাদানও রয়েছে পেঁয়াজে। এটি হাড়েরও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে"।

জামাল উদ্দিন বলেন, শরীরে পটাসিয়াম এবং মিনারেল বা খনিজের চাহিদা পূরণের একটি ভালো উৎস পেয়াজ। এই উপাদানগুলোই পেয়াজে অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ডায়েটারি ফাইবার থাকে অনেক বেশি যা প্রায় ১২ শতাংশ। পেয়াজে মধ্যে কোন ফ্যাট নাই। এছাড়া পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি এবং আয়রন পাওয়া যায়।

রান্নায় পেঁয়াজ কী স্বাদ যোগ করে?
পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম , "পেয়াজ যেহেতু সালফার উপাদান থাকে তাই এটি রান্নায় এক ধরণের ঝাঁজালো স্বাদ যোগ করে"।

তবে নিজস্ব স্বাদ যোগ করার ছাড়াও রান্নায় পেঁয়াজের সব চেয়ে বড় কাজ হচ্ছে, রান্নার অন্যান্য উপকরণের স্বাদ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।



তিনি বলেন, "পেয়াজ তিতা, টক, মিষ্টি বা ঝাল এমন ধরণের কোন স্বাদ যোগ করে না। তবে সালফার কম্পোনেন্ট থাকায় পেয়াজ খাবারের যেকোনো স্বাদকে অনেক বেশি তীব্র করে"।

বেশিক্ষণ রান্না করলে পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন নষ্ট হলেও অন্য উপাদানগুলো ঠিক থাকে।

পেঁয়াজ দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে খাদ্যগুণ কি নষ্ট হয়ে যায়?
পেঁয়াজে নানা ধরণের ভিটামিন ও প্রাকৃতিক তেল থাকে যা রান্নার পর নষ্ট হয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়।

তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, পেয়াজে ভোলাটাইল কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো নাকে-মুখে লাগে সেগুলো হয়তো নষ্ট হয়। কিন্তু পেঁয়াজের অন্য উপাদানগুলো নষ্ট হয় না।

খোলা রান্না করলে বা কেটে খোলা রাখলে পেয়াজের খাদ্যগুণ নষ্ট হয় না। তবে সালফার কম্পোনেন্ট কমে আসে। রান্নার পর খোলা অবস্থায় রাখলে কোন সমস্যা হয় না।

পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম বলেন, "বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা হলে ভিটামিন ও পটাসিয়াম কমে আসতে পারে। এছাড়া বাকি সব খাদ্য উপাদান নষ্ট হয় না"।

তবে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে খাদ্যগুণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মধ্যম তাপমাত্রায় পেঁয়াজ রান্না করার পরামর্শ দেন তাসনীম চৌধুরী। পেঁয়াজের গুনাগুণ পেতে হলে কাঁচা পেয়াজে খাওয়ার অভ্যাস বেশি করতে হবে বলেও জানান তিনি।

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন?
পেঁয়াজ কেটেছেন কিন্তু চোখে পানি আসেনি এমনও কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ দুরূহ। কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, "পেঁয়াজের ভলাটাইল কম্পাউন্ড যা এলিসিন নামে পরিচিত, এটি পেঁয়াজের ঝাঁঝের জন্য দায়ী। আর কাটার সময় এটি চোখে লাগে বলেই চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং পানি পড়ে"।



তিনি বলেন, জাপান বা অন্য দেশে পেঁয়াজ বড় মাপের হয় এবং সেগুলোতে এলিসিনের মাত্রা কম থাকার কারণে সেখানে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলে না। এসব দেশে পেয়াজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাঁচা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে।

পেঁয়াজের ঔষধি গুণ কী?
বিবিসি গুড ফুড তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ঐতিহাসিকভাবে পেঁয়াজের রয়েছে ঔষধি ব্যবহার। প্রাচীন আমলে কলেরা এবং প্লেগের প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হতো পেঁয়াজ। রোমান সম্রাট নিরো ঠাণ্ডার ওষুধ হিসেবে পেঁয়াজ খেতেন বলেও শ্রুতি রয়েছে।

বাংলাদেশে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজে থাকা এলিসিন নামের উপাদান অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে।

অনেক সময় এটি কিছু কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখা, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে পেঁয়াজের ব্যবহার দেখা যায়।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ কাঁচা খেলে সর্দি-কাশি খুব কম পরিমাণে হয়। এটা মানুষের শরীরকে রোগ-প্রতিরোধক হিসেবে হিসেবে করে।

পেঁয়াজের গন্ধ দূর করবেন কীভাবে?
অনেক সময় পেঁয়াজ কাটলে বা কাঁচা পেঁয়াজ খেলে হাতে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়। এর জন্য অনেক সময়ই পেঁয়াজকে এড়িয়ে চলি আমরা। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই পেঁয়াজের এই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হাতে গন্ধ হলে পেঁয়াজ কাটার পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। তার পর লবণ দিয়ে হাত কচলে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার সাবান এবং গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে থাকবে না কোন গন্ধ।

নিঃশ্বাসের গন্ধ দূর করতে হলে ধনিয়াপাতা বা একটি আপেল খেয়ে নিলে দূর হবে তাও। বিবিসি।

                                                    ব্ল্যাকহেড মুক্ত ত্বক - ছবি : সংগ্রহ





ব্ল্যাকহেডস আসলে কী?
আমাদের ত্বকে রয়েছে অসংখ্য লোমকূপ যা দ্বারা ত্বক নিঃশ্বাস নেয়। কখনো কখনো মৃতকোষ ও ত্বক থেকে নিঃসৃত তেল লোমকূপের গোড়ায় জমে গোড়াগুলো বন্ধ হয়ে যায়, এভাবেই ব্ল্যাকহেডসের জন্ম হয়। ত্বকের স্বাভাবিক মেলানিন এবং তেল বাতাসের সংস্পর্শে এলে তা অক্সিডাইজ হয়ে কালো রঙ ধারণ করে। রঙ কালো দেখানোর কারণে অনেকেই ব্ল্যাকহেডসকে ময়লা ভেবে ভুল করেন। কিন্তু আসলে ময়লার সাথে ব্ল্যাকহেডসের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনার চেহারায় ব্ল্যাকহেডস থাকা মানে এই নয় যে, আপনি অপরিচ্ছন্ন। ব্ল্যাকহেডস সাধারণত থুতনি, নাক ও নাকের আশপাশের অংশেই বেশি দেখা যায়। ব্ল্যাকহেডস অনেক সময় বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায়, টিনেজ বয়সে ব্ল্যাকহেডসের উপদ্রব হয়ে থাকে। বিভিন্ন ওষুধ যেমন করটিকস্টারয়েড, অ্যান্ড্রজেন বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করলেও ব্ল্যাকহেডস হতে পারে। হতাশার কথা হলো, ব্ল্যাকহেডসের পেছনের সবগুলো কারণ এখনো পুরোপুরিভাবে আবিষ্কৃত হয়নি।

ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কিছু উপাদান এড়িয়ে চলুন
অনেক প্রসাধনী আছে যা ত্বকের তেল নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে ব্ল্যাকহেডস সমস্যা আরো জটিল করে তুলতে পারে। এসব সমস্যা হয় কিছু উপাদানের কারণে যা বিভিন্ন প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এসব উপাদানের মধ্যে আছে অ্যালকোহল, পেপারমিন্ট, মেন্থল, লেবু ও ইউক্যালিপ্টাস। যেসব প্রসাধনী তৈরিতে এসব উপাদান ব্যবহার করা হয়, সেসব উপাদান এড়িয়ে চলুন। সাবান দিয়ে মুখ ধোবেন না। সাবানকে শক্ত আকৃতি দেয়ার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তা মুখের লোমকূপ বন্ধ করে দিয়ে ত্বকে ব্ল্যাকহেডস ও অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
স্ক্রাবিং
ব্ল্যাকহেডস কখনো স্ক্রাবিং করে দূর করা যায় না। ব্ল্যাকহেডস লোমকূপের এত গভীর পর্যন্ত থাকে যে স্ক্রাবিং করে তা নির্মূল হবে না, উল্টো অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করার ফলে ত্বকে জালাপোড়া হতে পারে। ত্বক বেশি ঘষলে বা স্ক্রাবিং করলে ত্বকের সেবাম উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। স্ট্রিপ ব্যবহার করলেও ব্ল্যাকহেডস একেবারে দূর হয় না, শুধু ক্ষণকালের জন্য ব্ল্যাকহেডসের উপরি ভাগ দূর হয়। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করা যাবে না, বা স্ট্রিপ্সও ব্যবহার করা যাবে না।




ট্রপিকাল রেটিনয়েড
রেটিনয়েড হতে পারে ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তির পথ। সঠিক পরিমাণে ও সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে অচিরেই। রেটিনয়েড কোষের আঠালোভাব দূর করে এবং নতুন কোষ উৎপাদন করে, ফলে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়। যাদের ত্বক সেনসিটিভ তারা ০.৫ শতাংশ রেটিনল ক্রিম বা এমন প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন যাতে আছে রেটিনল। রেটিনল ব্ল্যাকহেডসকে বাড়তে দেয় না। যাদের ত্বক সেনসিটিভ নয়, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ট্রপিকাল রেটিনয়েড ব্যবহার করতে পারেন।

স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত স্ক্রাব
স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করে আলতো করে ত্বকের উপরি ভাগ পরিষ্কার করতে হবে। স্ক্রাব করার ফলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে না কিন্তু ত্বকের মৃতকোষ দূর হবে, স্ক্রাবে থাকা স্যালিসাইলিক এসিড তখন পোরে ঢুকতে পারবে সহজেই। এতে পোরগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। তবে মনে রাখতে হবে, তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের সপ্তাহে তিনবারের বেশি স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্য দিকে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা সপ্তাহে দু’বার ও সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারীরা সর্বোচ্চ একবার স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারবেন।

ক্ল্যারিসনিক ব্রাশ বা সনিক ক্লিনজিং সিস্টেম
ইলেকট্রিক ক্ল্যারিসনিক ব্রাশ খুব সুন্দরভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে সক্ষম, যা খালি হাতে করা সম্ভব না। খেয়াল রাখবেন, এটি যেন অতিরিক্ত ব্যবহার না করা হয়। সপ্তাহে এক থেকে দু’বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।

ময়েশ্চারাইজ করুন
ত্বকে ব্রণ বা ব্ল্যাকহেডস থাকুক বা না থাকুক, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য রেটিনয়েড ক্রিম ব্যবহার বা স্ক্রাবিং করার ফলে তা ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে, তাই ত্বক সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। এতে করে ত্বক নরম থাকবে, ফেটে যাবে না। ফলে ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য স্ক্রাবিং বা অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা প্রথমে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তার ওপর রেটিনয়েড ক্রিম ব্যবহার করুন।



প্রোফেশনাল সমাধান
ঘরে বসে যদি কোনোভাবেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে না পারে, তখন অন্য উপায় আছে আপনার জন্য, কিন্তু সেগুলো একটু খরচ ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। লাইট পিল করাতে পারেন। এতে বন্ধ লোমকূপের মুখ খুলবে এবং ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হবে। মেডিক্যাল ফেসিয়াল ও মাইক্রোডারমাব্রেসন ও একই উপকার করতে সক্ষম।

কিছু ঘরোয়া সমাধান
ঘরে বসেও তৈরি করে নিতে পারেন ব্ল্যাকহেডস দূর করার কার্যকরী প্রসাধনী। এতে যা যা উপকরণ লাগে সব আপনার রান্নাঘরেই আছে, দামও কম।
প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিয়ে নিন। একটি ডিমের সাদা অংশ অনেকক্ষণ বিট করুন যেন একটা ফোমের মতো প্যাক তৈরি হয়। এটা মুখে অল্প অল্প করে লাগিয়ে নিন। ডিমকে আঠা হিসেবে ব্যবহার করে পুরো মুখে শুকনো টিস্যু পেপার বিছিয়ে দিন। এবার শুকাতে দিন। টিস্যু বেশি ভেজা হলে প্রয়োজনে আরেক লেয়ার টিস্যু লাগান মুখে। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে টিস্যু নিচ থেকে ওপর দিকে টেনে তুলুন। ভালোভাবে মুখ ধুয়ে বরফ ঘষে নিন।

এক মগ ফুটন্ত পানিতে দু’টি গ্রিন টিব্যাগ দিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর ফ্রিজে দুই ঘণ্টা রেখে চা ঠাণ্ডা করে নিন। মৃদু কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে-মুছে নিন। তুলা দিয়ে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্ল্যাকহেডসের ওপরে লাগান। যদি মুখে ব্রণ থাকে তাহলে সারা মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নরম কাপড় দিয়ে মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। অন্তত ছয় সপ্তাহ একটানা প্রতিদিন কমপক্ষে একবার করে লাগাতে হবে। একদিনও বাদ দেয়া যাবে না। নিয়মিত গ্রিন টি খেলেও ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস কমে।
তিন টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ আস্ত ওটস মিশিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর ভালোমতো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। সারা মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আবারো মুখ ধুয়ে নিন।
ব্ল্যাকহেডস দূর করতে মেথি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান হিসেবে প্রমাণিত। ১ টেবিল চামচ মেথি ৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট ব্ল্যাকহেডসের ওপর লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।



কী কী করবেন ও কী কী করবেন না
হ পানিতে দ্রবণীয় হালকা ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করবেন। ভেজা, নরম ও পরিষ্কার এক টুকরো কাপড়ে ক্লিনজার নিয়ে ধীরে ধীরে আলতোভাবে ত্বকের ওপরিভাগ পরিষ্কার করতে হবে, জোরে ঘষবেন না।।
হ প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে জেল-বেসড ফর্মুলা বেছে নিন। জেল-বেসড ফর্মুলার লোশন বা ক্রিম পাওয়া না গেলে অন্তত হালকা ফর্মুলার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। ভারী ফর্মুলার ক্রিম বা লোশন লোমকূপের মুখ বন্ধ করে ব্ল্যাকহেডসের জন্ম দেয়।
হ প্রতিদিন স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন।
হ ত্বক থেকে নিঃসৃত তেল বা সেবামের পরিমাণ কমাতে সপ্তাহে তিন দিন মুলতানি মাটির প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হ এমন একটি টোনার ব্যবহার করুন যাতে আছে ‘নিয়াসিনামাইড’। এটি ত্বকের লোমকূপ বা ‘পোর’-এর মুখ ছোট করতে সাহায্য করে। ফলে ব্ল্যাকহেডস কমে আসে।

হ তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাকহেডস বেশি দেখা যায়। তাই যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের প্রতিদিন চার-পাঁচবার মুখ ধোয়া উচিত।
হ অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা স্ক্রাবিং করলে ত্বকের সেবাম উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা ব্ল্যাকহেডস আরো বাড়িয়ে তোলে। তাই অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা স্ক্রাবিং করা যাবে না।
হ খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্ল্যাকহেডস বের করার জন্য কখনোই ত্বকে অতিরিক্ত জোরে চাপ দেয়া যাবে না, এতে ব্ল্যাকহেডসের আশেপাশের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হ চেহারায় বারবার হাত দেবেন না। ময়লা হাত ত্বকে লাগালে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে, যার ফলে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস বৃদ্ধি পায়।




সারা বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়েছে করোনা আতঙ্ক। এর মধ্যে মাস্কের সংকট দেখা যাচ্ছে ওষুধের দোকানে। এই অবস্থায় চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নেয়া যায় মাস্ক।

শুধু করোনার জীবাণু আটকাবে তাই-ই নয়, বাইরের দূষণ, ধুলাবালি আর নানা রোগের জীবাণু থেকে বাঁচতেও ছোট-বড় সবার প্রতিদিনই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।


জেনে নিন ঘরে মাস্ক বানানোর সহজ পদ্ধতি:

- চার ইঞ্চি করে দুই টুকরো সুতির কাপড় নিনি

- একটির সাথে আরেকটি সেলাই করুন



- সেলাই করার সময় ওপরের ছবিরমতো আধা ইঞ্চি পর পর ভাঁজ করে নিন

- এবার দুই পাশে রাবার লাগিয়ে নিন কান পর্যন্ত

এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আপনার মাস্ক।

বাড়ির সবার জন্য একবারে বেশি করে তৈরি করে রাখুন, এগুলো ব্যবহার করলে সব সময়ই জীবাণু থেকে নিরাপদে থাকতে পারবেন। সূত্র: ইউএনবি।

                               করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই যা করবেন - ছবি : এএফপি







বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন একটি দুটি করে বাড়ছে এবং সারা পৃথিবীতে এই রোগের দ্রুত বিস্তারের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচার হচ্ছে, তখন এ নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও বাড়ছে।
তবে সরকারের দিক থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি এরকম লক্ষণ দেখা দিলেই হাসপাতালে দৌড়ানোর দরকার নেই। এরকম হলে তাদেরকে প্রথম বাড়িতে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
লোকজন কেন হাসপাতালে দৌড়াচ্ছে?
রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল মাস থেকে মওসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা শুরু হয়, শেষ হয় সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু এবছর এই মওসুম একটু আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে।
‘এই সিজন শুরু হয়ে যাওয়াতে যেটা হয়েছে যে অনেক মানুষের এখন সাধারণ জ্বর, সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা হচ্ছে। মানুষজন যেহেতু এখন সচেতন তাই তারা মনে করছে যে এটা হয়তো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।’
আর এজন্যে সাধারণ লোকজন পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছে বলে তিনি মনে করেন। শুধু লোকজনই নন কিছু কিছু চিকিৎসকও মনে করছেন যে এটা হয়তো এই ভাইরাসেরই সংক্রমণ।
লক্ষণ দেখা দিলে কী করতে হবে?
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মি. আলমগীর বলেন, ‘আপনার যদি এরকম লক্ষণ দেখা দেয় এবং গত ১৪ দিনে আপনার বিদেশ ভ্রমণের কোন ইতিহাস না থাকে, দয়া করে আপনি বাড়িতে থাকুন, ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা করুন, নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে যান।’
তিনি বলছেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিক কিম্বা তাদের পরিবারের সদস্য।
আলমগীর জানান, এসব পরিবারের বাইরে বাংলাদেশে আর একজনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তিনি বলেন, যদি তাদের বাইরে কমিউনিটিতে এই ভাইরাসটি পাওয়া যায় তাহলেই প্রমাণ হবে যে এটি স্থানীয়ভাবেও ছড়াচ্ছে।
লক্ষণ তো একই
সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির সাথে করোনাভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে তেমন একটা তফাৎ নেই। সেকারণে কারো এরকম লক্ষণ দেখা দিলে তিনি কী করবেন? আলমগীর বলেন, বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশিদের পরিবার ছাড়া এখনও পর্যন্ত কমিউনিটিতে কোন সংক্রমণ হয়নি।
‘আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। সেরকম কিছু হলে আমরা ঘোষণা করে দেব। তখন কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যাবে। তখন কেউ টেস্ট করাতে চাইলেই করাতে পারবেন।’
অভিযোগ উঠেছে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এই সন্দেহে কেউ কেউ হাসপাতালে গেলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তারা বুঝতে পারছেন না যে কী করবেন- তারা কী নিজেদের অন্যদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখবেন নাকি তার জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষা করানো দরকার হবে?
‘আপনার যদি মনে হয় যে আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার বাড়ির বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই। আপনি আমাদের হট-লাইনে যোগাযোগের চেষ্টা করুন। আমাদের ১৭টি ফোন নম্বর আছে,’ বলেন তিনি।
কোথায় যোগাযোগ করবেন
ই-মেইলের মাধ্যমেও আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ইমেইলের ঠিকানা: iedcrcovid19@gmail.com
এর পাশাপাশি একটি ফেসবুক পাতাও খোলা হয়েছে। সেখানে বার্তা দেওয়া হলেও আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে। তিনি জানান, হট-লাইনে আজ বুধবার ৪ হাজার ৮০০ এর বেশি কল এসেছে। ফলে হট-লাইনে সবকিছু সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কোন পরিবারে যদি বিদেশ থেকে কেউ এসে থাকেন তাহলে তাদের আর সকলের কাছ থেকে আলাদা থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আইইডিসিআরের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
‘আমরা কিন্তু বাড়িতে গিয়ে নমুনা নিয়ে আসছি। আপনার যদি গলা ব্যথা, শুকনো কাশি অথবা জ্বর থাকে, আপনি বাড়িতে থাকুন, আমাদের টিম দিনের কোন এক সময় আপনার কাছে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।’
শ্বাসকষ্ট হলে
‘যদি কোন রকমের শ্বাসকষ্ট থাকে এবং আপনি ঢাকায় থাকেন তাহলে আপনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চলে যাবেন। তারা আপনাকে সেখানে ভর্তি করে আমাদেরকে খবর দেবে। এবং আমরা গিয়ে নমুনা নিয়ে আসবো। আপনার এখানে সেখানে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করার একদমই প্রয়োজন নেই।’
তিনি জানান, সারা বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, শুকনো কাশি এবং দুর্বলতা।
‘সুনির্দিষ্টভাবে এই তিনটি লক্ষণ যদি থাকে তাহলে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাদের পরামর্শ দেব। দরকার হলে নমুনা সংগ্রহ করবো।’
তিনি জানান, কেউ যদি মনে করেন যে তার ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ লাগবে, আইইডিসিআরে এলে তাকে তার ওষুধ বিনা পয়সাতেই দেয়া হবে। সূত্র : বিবিসি

                         ডব্লিউএইচও’র প্রটোকল মেনে করোণায় মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হবে - ছবি : সংগৃহীত





করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের একমাত্র মৃত ব্যক্তিকে ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হবে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বুধবার বিকেলে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, মুসলিম ব্যক্তিকে কিভাবে দাফন করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রটোকল আছে। করোনায় আক্রান্ত যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে একজন মুসলমান। তাকে ইসলামি রীতি অনুযায়ীই দাফন করা হবে। তবে তা আইইডিসিআর’র লোকজন করবেন। এ উদ্দেশ্যে আমাদের লোকজন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে চলে গেছেন। তারাই সবকিছু করবেন।

উল্লেখ্য করনোভাইরাসের বর্তমান প্রজন্মটি (কোভিড-১৯) খুবই ছোঁয়াচে। তবে মৃত ব্যক্তির হাতে, মুখে, নাকে, চোখে এমনকি যে যে স্থানে মুখের লালা লেগেছে সেখানে ভাইরাস থাকতে পারে। সে কারণে প্রচলিত যে রীতিতে একজন মুসলমান মৃত ব্যক্তিকে খালি হাতে ধরে গোসল করানো হয় এই ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে সেভাবে গোসল করানো বা ধরা যাবে না। সে কারণে আইইডিসিআর’র লোকজন গিয়ে দাফনের কাজটি করে দিয়ে আসবেন।

                           বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের - ছবি : সংগৃহীত




দেশে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকজনকে বিদেশফেরতদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই সাথে তারা আশ্বস্ত করছেন যে সাধারণ জ্বর ও ঠান্ডা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

তাদের পরামর্শ হলো, পরিষ্কার থাকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং কারও মাঝে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) যোগাযোগ করা।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাধারণ সর্দি, কাশি ও জ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯-এ বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৮ হাজার ২৩২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২ হাজার ৮৬৬ জন। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০ দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন।

কোভিড-১৯ এর লক্ষণের মাঝে রয়েছে মাথা ব্যথা, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট ও শরীরে ব্যথা। ভাইরাসটির আক্রমণে প্রথমে জ্বর দেখা দেয়। পরে শুকনো কাশির সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।



অধ্যাপক আজাদ বলেন, এখন প্রতিদিনই করোনাভাইরাস সন্দেহে বেশি রোগী আসছেন। সাধারণ জ্বর-কাশি হলেও চলে আসছেন। এতে অন্য রোগীরা আতঙ্কিত হন।

তার পরামর্শ হলো, শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দ্রুত পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে আসুন। আর যদি কম শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে আগে আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করুন।

যে কারও করোনাভাইরাস সন্দেহ হলে আগে পরীক্ষা এবং তারপর চিকিৎসা নিতে হবে, বলেন তিনি।

করোনাভাইরাস নিয়ে তার উপদেশ হলো, যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের থেকে দূরে থাকুন। গণপরিবহন বা বাইরে চলাফেরায় সতর্ক থাকুন। প্রতিদিন কাজের আগে ও পরে বা পরিবহনে ও অফিসে ঢুকার আগে ও পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যাক্সিসল দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করুন।

অধ্যাপক আজাদ আরও পরামর্শ দিয়ে বলেন, বেশি বেশি পানি পান করুন। সাধারণ জ্বর হলে প্যারাসিটামল এবং গলা ব্যথা হলে হিস্টাসিন খান।



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে। প্রতিদিনই ৩-৪ শিশুকে করোনাভাইরাস সন্দেহে নিয়ে আসা হচ্ছে। এটি হচ্ছে মূলত আতঙ্কের কারণে।

তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার হার কম। তারপরও সতর্ক থাকতে হবে।

তার মতে, বিদেশ থেকে ফেরা কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর সর্দি, কাশি ও জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে। অন্যথায় আতঙ্কিত না হয়ে সাধারণ ওষুধ খেতে হবে।

তিনি বলেন, ছোট বাচ্চাদের সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরের কারও সংস্পর্শে নেয়া যাবে না। বাসায় রাখা ভালো। কাজের লোক বা গৃহশিক্ষক থেকেও সচেতন থাকতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ছোট-বড় সবাইকে পরিষ্কার রাখতে হবে।

তার পরামর্শ হলো, বাসাবাড়ি ও অফিস-আদালত যে যেখানেই থাকুন সতর্ক থেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে দূরত্ব বজায় রেখে। সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে গণপরিবহন ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেককে পরিবহনে উঠার আগে হ্যাক্সিসল ব্যবহার করে উঠতে হবে। বাস, ট্রেন ও নৌপরিবহনে যাত্রী ওঠানোর আগে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

যদি করোনাভাইরাস সন্দেহ হয় তাহলে দ্রুত সময়ে আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, বলেন তিনি।

তিনি জানান, বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। যিনি বিদেশ থেকে এসেছেন তাকে অবশ্যই আলাদা হয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সূত্র : ইউএনবি

Prockash.com

facebook#https://www.facebook.com/hmmasudul

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget