ইং ২৮/১০/২০১৯ তারিখ দুপুর অনুমান ১:৪৫ মিনিটে রাজবাড়ীর পাংশা থানার অন্তর্ভূক্ত যশাই ইউনিয়নের জয়গ্রাম ও খালকুলা গ্রামের পার্শ্ববর্তীগ্রাম পূর্ববালিয়া গ্রামের মোহাম্মাদ মিল ঘরের উত্তর পূর্ব পাশে অবস্থিত মোঃ হোসেন পরামানিক এর পুকুরে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পুকুরের পানিতে পড়ে এবং পুকুরের পানিতে পড়া ইলেক্ট্রিক তারের মাধ্যমে প্রবাহিত বিদ্যুৎ সমস্ত পুকুরের পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ সময় পুকুরে গোসল করতে নামা ৪ (চার) জন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। বিদ্যুৎপৃষ্টদের মধ্যে ০১ (এক) জন বয়স্ক মহিলা ও ০৩ (তিন) জন শিশু। আশ্চর্যজনক ভাবে ৪ জনের মধ্যে একজন শিশু প্রাণে বেঁচে যায়। বাকি ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় পাংশা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই মর্মান্তিক ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় সমবেদনা জানাতে পাংশা থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা ও টিএনও মহোদয় এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পাংশা পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ঘ্টনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং ঘটনাটি তদন্ত করেন। স্থানীয় ভাবে জানা গেছে পুকুরের পূর্ব পার্শেরনিবাসী দুলাল পরামানিক গাছ কাটতে যেয়েই এই দূর্ঘটনা ঘটে। গাছ কেটে গাছের গুড়ি বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়লে সর্টসার্কিট হয়ে পুকুরের উপর থেকে প্রবাহিত হওয়া বৈদ্যুতিক তারটি পুড়ে গিয়ে পুকুরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়, ছিড়ে পড়া বৈদ্যুতিক তারের একপ্রান্তে থাকা বিদ্যুৎ প্রবাহ পুকুরের পানিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুকুরে গোসল করতে থাকা অবস্থায় স্থানীয় মিঠুর মা জাহানারা বেগম বয়স অনুমান ৪৫ বছর, মিঠুর মেয়ে মিথিলা বয়স অনুমান ৯ বছর, সাল্লেক ওরফে সারলেক মোল্লার মেয়ে শিউলি বয়স অনুমান ১৩ বছর ও আলমের মেয়ে মিতু বয়স অনুমান ১৩ বছর মোট ৪জন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। এদের মধ্যে আলমের মেয়ে মিতু আল্লাহর ইচ্ছায় প্রাণে বেঁচে যায় এবং বাকি ৩ জনের মৃত্যু হয়। শিশু মিতু প্রাণে বেঁচে গেলেও উক্ত দুর্ঘটনায় হারিয়ে ফেলে তার মা জাহানারা বেগমকে।
Post a Comment