করোনাভাইরাস : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিবিদের পরামর্শ

চৌধুরী তাসনীম হাসীন করোনাভাইরাস বর্তমান সময়ের ভয়ঙ্কর একটি শব্দ। এতে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। থমকে গিয়েছি আমরাও। তবে এর মাঝেও মেনে চলতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং খুঁজে নিতে হবে প্রতিরক্ষার উপায়। পুষ্টিগত দিক দিয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা খুব সহজেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি। দিনের শেষে যা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে করোনাসহ যেকোনো ভাইরাস জাতীয় অসুস্থতা থেকে। ভিটামিন এ, সি, কে এবং ফলেই সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে পারে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অর্থাৎ দৃঢ় করবে আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম)। রঙিন শাকসবজি এবং টক জাতীয় বেশি ফল যার অন্যতম উৎস। বেদানায় আছে ক্ষমতাসম্পন্ন anthocyanin যা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ গরম পানি প্রতি ঘণ্টায় পান করা জরুরি। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে মধু ও আদা যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াবে এবং পাশাপাশি anti-inflammatory এবং antioxidant হিসেবে কাজ করবে। পর্যাপ্ত hydration-এর জন্য কলা ও ডাবের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। anti-inflammatory গুণাবলি পরিলক্ষিত হয় রসুনে। যা মুরগি অথবা সবজির স্যুপে ব্যবহার করা যেতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে অবশ্যই দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রতি কেজি ওজনের জন্য যা হবে ১-১ ১/২ গ্রাম। এ সময়ে অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগী একটি সুষম খাদ্য তালিকা মেনে তাদের রোগের ব্যাপ্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা। কাঁচা মাছ-মাংস, শাকসবজি ধরার পরে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে। মাছ মাংস এবং ডিম যথাযথ পরিমাণ তাপমাত্রায় পরিপূর্ণ সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না জরুরি। উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চললে পুষ্টিগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এ স্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

                                                             চৌধুরী তাসনীম হাসীন




করোনাভাইরাস বর্তমান সময়ের ভয়ঙ্কর একটি শব্দ। এতে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। থমকে গিয়েছি আমরাও। তবে এর মাঝেও মেনে চলতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং খুঁজে নিতে হবে প্রতিরক্ষার উপায়। পুষ্টিগত দিক দিয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা খুব সহজেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি। দিনের শেষে যা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে করোনাসহ যেকোনো ভাইরাস জাতীয় অসুস্থতা থেকে।

ভিটামিন এ, সি, কে এবং ফলেই সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে পারে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অর্থাৎ দৃঢ় করবে আমাদের  প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম)। রঙিন শাকসবজি এবং টক জাতীয় বেশি ফল যার অন্যতম উৎস। বেদানায় আছে ক্ষমতাসম্পন্ন anthocyanin  যা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ গরম পানি প্রতি ঘণ্টায় পান করা জরুরি। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে মধু ও আদা যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াবে এবং পাশাপাশি anti-inflammatory এবং antioxidant হিসেবে কাজ করবে।

পর্যাপ্ত hydration-এর জন্য কলা ও ডাবের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। anti-inflammatory গুণাবলি পরিলক্ষিত হয় রসুনে। যা মুরগি অথবা সবজির স্যুপে ব্যবহার করা যেতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে অবশ্যই দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রতি কেজি ওজনের জন্য যা হবে ১-১ ১/২ গ্রাম। এ সময়ে অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগী একটি সুষম খাদ্য তালিকা মেনে তাদের রোগের ব্যাপ্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা।
কাঁচা মাছ-মাংস, শাকসবজি ধরার পরে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে। মাছ মাংস এবং ডিম যথাযথ পরিমাণ তাপমাত্রায় পরিপূর্ণ সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না জরুরি। উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চললে পুষ্টিগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এ স্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

লেখক : চিফ নিউট্রিশনিস্ট, ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড।

Post a Comment

[blogger][facebook][disqus][spotim]

Prockash.com

facebook#https://www.facebook.com/hmmasudul

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget