রাজশাহী নগরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় ‘রাধার ভিটা’ নামের একটি কবরস্থানে আজ বুধবার কবরস্থান সংস্কার করতে গিয়ে মিলল মাটির তৈরি দুটি পুরোনো ভাড় বা মটকা। এর মধ্যে একটি বড়, অন্যটি ছোট। মাটির নিচে পাওয়া মটকায় সোনার মোহর থাকতে পারে ভেবে কবরস্থানে ভিড় করতে থাকে স্থানীয়রা। একপর্যায়ে ভিড় ঠেকাতে পুলিশ আসে। কৌতূহল নিয়ে পুলিশের সদস্যরাও দেখতে থাকেন, কী আছে এই মটকাগুলোতে। তবে শেষ পর্যন্ত সবার হতাশ হতে হলো। মাটি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া গেল না।
রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে তিনি কবরস্থানে মাটি কাটাচ্ছিলেন। এক জায়গা থেকে মাটি তুলে সব জায়গা সমান করা হচ্ছিল। প্রথম যেখানে গর্ত খোঁড়া শুরু হয়, সেখানে এক ফুট মাটি কাটতেই বড় পাত্রটা পাওয়া যায়। সেটির মুখে ঢাকনা ছিল। ঢাকনা দেখে তাঁর সন্দেহ হয় ভেতরে কিছু থাকতে পারে। তিনি তখন পুলিশ ও প্রশাসনকে জানান। ছোট আরেকটি মটকা পাওয়া যায়।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ঢাকনা সরিয়ে শাবল দিয়ে মাটি বের করা শুরু হয়। শুরুতে শুধু মাটিই পাওয়া যাচ্ছিল। তখন সবাই ধারণা করছিলেন, ভেতরে মোহর রেখে ওপরে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। নিচের দিকে যেতেই কাদা মাটি বের হতে লাগল। মাটি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া গেল না। সকাল আটটা থেকে শুরু করে বেলা সাড়ে ১১টায় মাটি বের করা শেষ হয়।
রাজশাহী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, মাটির মটকা দুটিতে গুপ্তধন আছে ভেবে মানুষ ভিড় করেছিলেন। কিন্তু মাটি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। মাটি বের করার সময় বড় পাত্রটি ভেঙে গেছে। আর ছোটটি আগে থেকেই ভাঙা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পাত্র দুটি অনেক পুরোনো। মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল।
Post a Comment