প্রকাশ.কম-Prockash.com

Latest Post







বিগত ১৪ দিন ধরে জর্ডানের ক্লাসিক ফ্যাশান এ্যাপারেলস্ আল-হাসান-এ বেতনের মজুরীর জন্য গার্মেন্টসটির পুরুষ শ্রমিকরা (ভারতীয় নাগরিক) আন্দোলন শুরু করে এবং পরবর্তীতে স্থানীয় ডাস্টবিন থেকে গার্মেন্টসটির বাংলাদেশী একজন নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার হয় বলে আন্দোলনকারী মহিলা শ্রমিকরা জানায়। বিগত ১৪ দিন ধরে বেতন আদায়ের আন্দোলনের কারনে শ্রমিকরা কাজ না করে হোস্টেলে যার যার রুমে থেকে কর্ম বিরতী আন্দোলন শুরু করে। গত দুইদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকদের বলে যে, তোমাদের বেতন পরিশোধ করা হবে, তোমরা ৩০ হাজার শ্রমিক আছো কাজে আছো অন্যথায় ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবে।বাংলাদেশী প্রবাসী গার্মেন্টস শ্রমিকরা মালিক পক্ষের কথায় বিশ্বাস করে ২২/১১/২০২০ তারিখ রবিবার তারা কর্মস্থলে কাজে যোগদানের জন্য গেলে উক্ত ফ্যাক্টরীর শ্রীলংকান স্টাফরা নারী শ্রমিকদের উপর শারীরিক অত্যাচার-নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশী প্রবাসী নারী শ্রমিকরা। তারা তাদের একটি ভিডিও Bd public information প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক এর ফেসবুক পেজে প্রচারের মাধ্যমে এই অভিযোগের কথা জানায় এবং বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নারী শ্রমিক বলে কি আমাদের লাশ ডাস্টবিনে পরে থাকবে? আমরা এই নির্যাতনের বিচার চাই”। তারা আরো বলে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের নিরাপত্তা চাই।  






এবছর করোনা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য এবং অনুরোধ রক্ষার্থে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যও কয়েকটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও সাংসদ মমতাজ।। তবে বছরের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও চলচ্চিত্রের কোনো গানে কণ্ঠ দেওয়া হয়নি এই সংগীতশিল্পীর। এ বছর প্রথম সিনেমার কোনো গান গাইলেন তিনি। এটি ‘রাত জাগা ফুল’ সিনেমার টাইটেল গান। গানের কথা লিখেছেন ছবির পরিচালক মীর সাব্বির আর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী।

মমতাজ জানান, সিনেমায় তিনি সর্বশেষ গেয়েছিলেন মাসুদ পথিক পরিচালিত সরকারি অনুদানের ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবিতে। নতুন ছবিটিও সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। মমতাজ বলেন, ‘এ বছর কয়েকটি ছবির গানে কণ্ঠ দেওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন স্বাভাবিকে এসে গানটি গাওয়ার প্রস্তাব পাই। আমি সাধারণত যে ধরনের গানে কণ্ঠ দিই, এটি তার চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। ইমন বরাবরই চমৎকার সুর করে। আর গানের কথাও বেশ মনে ধরেছে। গানটি গাওয়ার পরে তৃপ্তি পেয়েছি।’
সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন বলেন, ‘সাধারণত যে ধরনের গানে মমতাজ আপাকে শ্রোতারা পেয়ে থাকেন, এটি তেমন গান নয়। আশা করছি আপার কণ্ঠে গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’

‘রাত জাগা ফুল’ সিনেমার কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মীর সাব্বির। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মমতাজের গাওয়া নিয়ে মীর সাব্বির বলেন, ‘নিজের পরিচালিত প্রথম সিনেমায় মমতাজ আপার মতো গুণী সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন, এটা ভীষণ আনন্দের। আমি গানটি ঘোরের মধ্যে লিখেছি। চমৎকার সুর ও সংগীতায়োজনের জন্য ইমন চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ 

 



গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে এক চিঠি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্কে হ্যাকিং করতে পারে। সেজন্য ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন লেনদেনব্যবস্থা ও এটিএম বুথে নজরদারি বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। কোনো কোনো ব্যাংক রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন রুপালী ব্যাংক রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এটিএম বুথ বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়  অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম এর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরই আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ 

এর আগে গত আগস্টে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অনেক ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করে। আবার কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন বন্ধও করে দেয়। 

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে তথ্য আসে, ‘বিগল বয়েজ’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলা চালাতে পারে। গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার জন্য চিঠি দেয়। চিঠি পাওয়ার পর সব ব্যাংকই বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। তবে কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি। এই গ্রুপই নতুন করে হামলা চালাতে পারে বলে তথ্য এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকগুলো।

 


"আন্তর্জাতিক সমঝোতার রীতি নীতি ভেঙে পড়ছে।" যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 

তিনি আমেরিকার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছেন এবং বলেছেন যে সেই কাজটা তিনি খুব দ্রুতই করবেন।

"নষ্ট করার মতো সময় নেই," এবছরের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক এক সাময়িকীতে একথা লিখেছেন জো বাইডেন।

এধরনের বিষয়ে কাজের যে লম্বা তালিকা জো বাইডেনের হাতে রয়েছে তার একটি হচ্ছে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তিতে পুনরায় যোগ দেওয়া। জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ নামের এই চুক্তিটি সই হয়েছিল ২০১৫ সালে।

এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করা। এতে সই করেছিল ইরান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ- চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামার শাসনামলের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হয় এই সমঝোতাকে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর পরই এই চুক্তিটি বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পক্ষগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের মে মাসে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটুকু করেই থেমে থাকেন নি, পুরো চুক্তিটি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যেও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন।

পরের দু'বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ দিয়ে গেছেন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু তারপরেও ইরানকে দমানো সম্ভব হয়নি। বরং তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন সেগুলো অর্জনের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

ইরানি নেতারা বলছেন, তাদের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জো বাইডেনের জন্য ইরানের হিসাব মেলানো কঠিন হবে।

জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর জো বাইডেন কি পরিস্থিতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন? বর্তমান সময় এবং আমেরিকার বিভক্ত রাজনীতির মধ্যে তার পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? "তার কৌশল খুব পরিষ্কার। কিন্তু সেটা করা সহজ হবে না," বলেছেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের ইরান বিশেষজ্ঞ আনিসে বাসিরি তাবরিজি।

'ফিরে যাওয়া নয়'

গত দু'বছর ধরে ইরানের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো থেকে জো বাইডেন বাড়তি কিছু সুবিধা পেতে পারেন, যদি তিনি সেগুলো অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।এবিষয়ে এখনও তিনি কোন মন্তব্য করেন নি। শুধু বলেছেন চুক্তি অনুসারে ইরানকে কোন কোন বিষয় মেনে চলতে হবে। জানুয়ারি মাসে জো বাইডেন লিখেছিলেন, "তেহরানকে চুক্তিটি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।"

কিন্তু ইরানকে সেটা করতে বাধ্য করানোও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চুক্তি থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের বের হয়ে যাওয়ার পর ইরান তার নিজের কাজে ফিরে যেতে শুরু করেছে।

পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজর রাখে জাতিসংঘের যে সংস্থাটি সেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ তাদের শেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে চুক্তিতে ইরানকে যতোটুকু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তার চেয়েও ১২ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে।

সংস্থাটি এও বলেছে ইরানকে যে মাত্রায় (৩.৬৭%) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তারা তারচেয়েও বেশি মাত্রায় সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে।

নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে ফিরে গেছে।

অল্প মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বেসামরিক নানা কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এর বিশুদ্ধতার মাত্রা বেশি হলে সেটা পরমাণু বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে আর সেটা নিয়েই পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ।

কিন্তু ইরানের কর্মকর্তারা বার বার বলছেন, প্রয়োজন হলে তারা আবার পুরনো চুক্তিতে ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু কথা হল এর মধ্যে তারা গবেষণায় যে অগ্রগতি ঘটাবে সেটা তো আর মুছে ফেলা যাবে না। "আমরা তো পেছনে যেতে পারবো না," বলেন আলী আসগর সুলতানিয়েহ, জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থায় ইরানের সাবেক দূত।

তিনি বলেন, "এখন আমরা একটা পয়েন্ট থেকে আরেকটা পয়েন্টে পৌঁছে যাচ্ছি এবং আমরা এখন এই জায়গাতেই আছি।"

রাজনৈতিক চাপ

এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঝড় সামাল দিয়েছে ইরান। এখন তাদের নিজেদেরও কিছু দাবি আছে। ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়াই যথেষ্ট হবে না।

ইরান আশা করছে, আড়াই বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের যেসব অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সেটা পুষিয়ে নিতে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।ইরানে আগামী বছরের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে সংস্কারবাদী ও কট্টরপন্থী শিবিরগুলো এবিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরতে শুরু করেছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি মুদ্রার মূল্য কমে গেছে। বেড়ে গেছে মুদ্রাস্ফীতি।

ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এখন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার মাধ্যমে জো বাইডেন কি প্রেসিডেন্ট রুহানির সম্ভাবনা চাঙ্গা করার চেষ্টা করবেন? তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নাসের হাদিয়ান-জ্যাজি বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের আগেই জো বাইডেনকে এবিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।

"আনুষ্ঠানিক বার্তা দিয়ে তাকে বলতে হবে কোন ধরনের শর্ত ছাড়াই খুব দ্রুত তিনি জেসিপিওএ চুক্তিতে ফিরে যাবেন। এটুকুই যথেষ্ট হবে।"

তিনি বলেন, মি. বাইডেন যদি এটা করতে ব্যর্থ হন তাহলে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওই অঞ্চলের ষড়যন্ত্রকারীরা চুক্তির বিষয়ে এই দুটো দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুন-প্রতিষ্ঠায় সমস্যা তৈরি করতে পারে।তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে জো বাইডেনের এখানে কিছু করার ক্ষমতা হয়তো সীমিত। জেসিপিওএ চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় অবস্থান পুরোপুরি বিভক্ত। বেশিরভাগ রিপাবলিকান এই চুক্তির বিরোধী।

এছাড়াও ওয়াশিংটনে ক্ষমতার ভারসাম্য কী হবে এবং নতুন প্রশাসন কতোটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে সেটা জানুয়ারি মাসে সেনেটের বাকি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।

নতুন জোট

জেসিপিওএ চুক্তিটি কখনো কোন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিল না। এর সঙ্গে আরো যেসব দেশ যুক্ত রায়েছে- রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ভূমিকা রয়েছে এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে।বিশেষ করে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের দেশগুলো এনিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও চুক্তিটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে।ফলে এই তিনটি দেশ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় ফিরে আসার সমঝোতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।তবে লন্ডন, প্যারিস এবং বার্লিনে অনেকেই মনে করছেন বিশ্ব পরিস্থিতি আর আগের জায়গাতে নেই এবং পুরনো চুক্তিতে যে খুব সহজেই ফিরে যাওয়া যাবে সেই সম্ভাবনা কম।

"ইউরোপের তিনটি দেশ এখন জেসিপিওএ চুক্তির পরবর্তী সমঝোতার ওপর জোর দিচ্ছে," বলেন আনিসে বাসিরি তাবরিজি।

ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

তিনি বলেন, এরকম কোন চুক্তি হলে ইরানের আঞ্চলিক তৎপরতা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাসহ দেশটির পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করে দেওয়ার জন্যেই সেটা করা হবে। কারণ বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

কিছু আঞ্চলিক শক্তি, যারা জেসিপিওএ চুক্তির বিরোধিতা করেছিল, যেমন ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন- তারা সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কিছু চুক্তিতে সই করেছে।

এসব সমঝোতা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায়। ফলে এসব দেশ কী চায় সেটা উপেক্ষা করাও এখন কঠিন হবে।

সম্প্রতি তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে ওয়াশিংটনে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা বলেছেন, "আমরা যদি আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপার নিয়ে সমঝোতা করতে চাই তাহলে আমাদেরকে সেখানেও যেতে হবে।"

 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী জো বাইডেনকে টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার রাতে টুইটে মোদি জানিয়েছেন, ফোনালাপে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর টেলিভিশন নেটওয়ার্কে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের খবর আসার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি। 

এবার বাইডেনকে ফোন করে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। তার এই জয় যুক্তরাষ্ট্রের উদার গণতান্ত্রিক শক্তি এবং ঐতিহ্যের প্রমাণ।

ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি। টুইটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, হ্যারিসের সাফল্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান সম্প্রদায়ের কাছে গর্বের বিষয়।

বাইডেনের এ জয়কে তিনি দর্শনীয় হিসেবে উল্লেখ করেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের প্রতি বাইডেনের ইতিবাচক ভূমিকার কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক শক্তিশালী করে তুলতে আপনার অবদান গুরুত্বপূর্ণ ও অমূল্য ছিল। ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি আরও একবার আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’

মোদি-বাইডেন আলোচনায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি আগামী দিনেও বজায় রাখার অঙ্গীকারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা, কোভিড-১৯ স্থান পেয়েছে।


শীতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি আছে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও আসন্ন শীতে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও শীতকালে সংক্রমণ বৃদ্ধির যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

আসন্ন শীত মৌসুমে যাতে করোনা বাড়তে না পারে সে জন্য ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশে প্রবেশের জায়গাগুলোতে স্ক্রিনিং অব্যাহত রয়েছে। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন কোটি ভ্যাকসিন আমদানির লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় চিকিৎসাসেবা, কমিউনিটি অংশগ্রহণ ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি দলের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে আপৎকালীন সহায়তা হিসেবে ২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, করোনার টিকা ও চিকিৎসার সামগ্রী সংগ্রহের জন্য এডিবি আরও ৩০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে। করোনাকালীন কর্মসংস্থানের জন্য বিশ্বব্যাংক ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার দিয়েছে। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে তৈরি পোশাক খাতের জন্য ১১০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পাওয়া গেছে। জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের জন্য ১১৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা হিসেবে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কৃষির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাত সত্ত্বেও প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনয়নের নীতি গ্রহণ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে, ফলে খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে। এ ছাড়া সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল।

সরকারি দলের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৪২টি পরিবারের পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৩টি পরিবারকে, জমি আছে ঘর নেই এমন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৭৯টি পরিবারকে এবং পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৬০০টি পরিবারের গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে ও তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

Prockash.com

facebook#https://www.facebook.com/hmmasudul

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget