করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু, আরো চার জন আক্রান্ত
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ।
সত্তরোর্ধ এই ব্যক্তি বিদেশফেরত নন। অন্য একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার কারণে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন।
তিনি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
তার কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ফুসফুসে সমস্যা এবং হার্টের অসুখ ছিল। হার্ট সমস্যার কারণে সম্প্রতি তার স্টেনটিং বা রিং পরানো হয়।
তিনি গত কয়েকদিন হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) শনাক্ত হওয়া দু'জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।
এছাড়া নতুন চার জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তাদের করোনাভাইরাসের উপসর্গ মৃদু হলেও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে। একজন এর আগে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
নতুন করে যে চারজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
চারজন নতুন রোগীর একজন পূর্বে আক্রান্ত এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্য।
বাকি তিনজন সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
ঐ তিনজনের মধ্যে দু'জন ইটালি থেকে ফিরেছেন এবং একজন কুয়েত থেকে ফিরেছেন বলে জানানো হয়।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা নিয়ে অভিযোগ
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের কয়েকটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্তের পরীক্ষা না করার বিষয়ে বিভিন্ন রকম অভিযোগ উঠে এসেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে।
এমন অভিযোগ উঠেছে যে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালকের কাছে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করেন যে 'প্রকাশ্যেই' অনেকক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটছে।
"এই ধরণের ঘটনা অনেকদিন ধরেই হচ্ছিল। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে, হাসপাতালের সাথে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।"
তবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কিট ঢাকাতেই জমা রয়েছে বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
"আমরা জানি, এই ভাইরাস পরীক্ষা করার কিটের সঙ্কট সারাবিশ্বেই রয়েছে। আপাতত আমরা ঢাকাতে কিট জমা করছি। যখন যেই এলাকায় প্রয়োজন, তখন সেই এলাকায় প্রয়োজনের ভিত্তিতে আমরা এই কিট সরবরাহের চেষ্টা করছি।"
এই কিটের বড় একটি অংশ চীন থেকে আসতো এবং বর্তমানে চীনের অনেক জায়গা নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ভবিষ্যতে কিটের সঙ্কট থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন আইইডিসিআরের পরিচালক।
"এই মুহুর্তে কিটের সঙ্কট নেই, তবে আমাদের আরো প্রয়োজন আছে।"
Post a Comment