March 2020




করোনা সংকটের কারণে চারটি এয়ারলাইন্স বাদে দেশের সব বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২১ মার্চ) রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ তথ্য জানায়।


বেবিচক জানায়, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ক্যাথে প্যাসিফিক (হংকং) ও থাই এয়ারওয়েজ। এছাড়া সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেবল যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নামবে।

১০ দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। দেশগুলো হচ্ছে- কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত। এসব দেশ থেকে কোনও ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে পারবে না।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যে দেশগুলো মোটামুটি নিরাপদ মনে করেছি, সেখান থেকে ফ্লাইট আসবে। বাকি সব বন্ধ।
প্রকাশ.কম: সংগৃহীত।





নিউজ ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতালি গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২ জনে দাঁড়ালো। শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবারই দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যায়। এর আগে ইতালিতে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়।

এছাড়া ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ শতাংশ বেড়েছে। এখন দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটির লম্বারডি অঞ্চলে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে ভয়াবহ। অঞ্চলটিতে আক্রান্ত ২২ হাজারের মধ্যে ২৫শ’ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৫ হাজার ১শ’ ২৯ জন সুস্থ হয়েছেন।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এরপর বিশ্বের ১৫০ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এই করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।

                                                             চৌধুরী তাসনীম হাসীন




করোনাভাইরাস বর্তমান সময়ের ভয়ঙ্কর একটি শব্দ। এতে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। থমকে গিয়েছি আমরাও। তবে এর মাঝেও মেনে চলতে হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং খুঁজে নিতে হবে প্রতিরক্ষার উপায়। পুষ্টিগত দিক দিয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা খুব সহজেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি। দিনের শেষে যা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে করোনাসহ যেকোনো ভাইরাস জাতীয় অসুস্থতা থেকে।

ভিটামিন এ, সি, কে এবং ফলেই সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে পারে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অর্থাৎ দৃঢ় করবে আমাদের  প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম)। রঙিন শাকসবজি এবং টক জাতীয় বেশি ফল যার অন্যতম উৎস। বেদানায় আছে ক্ষমতাসম্পন্ন anthocyanin  যা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ গরম পানি প্রতি ঘণ্টায় পান করা জরুরি। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে মধু ও আদা যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াবে এবং পাশাপাশি anti-inflammatory এবং antioxidant হিসেবে কাজ করবে।

পর্যাপ্ত hydration-এর জন্য কলা ও ডাবের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। anti-inflammatory গুণাবলি পরিলক্ষিত হয় রসুনে। যা মুরগি অথবা সবজির স্যুপে ব্যবহার করা যেতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে অবশ্যই দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রতি কেজি ওজনের জন্য যা হবে ১-১ ১/২ গ্রাম। এ সময়ে অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগী একটি সুষম খাদ্য তালিকা মেনে তাদের রোগের ব্যাপ্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা।
কাঁচা মাছ-মাংস, শাকসবজি ধরার পরে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে। মাছ মাংস এবং ডিম যথাযথ পরিমাণ তাপমাত্রায় পরিপূর্ণ সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না জরুরি। উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চললে পুষ্টিগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এ স্বাস্থ্য বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

লেখক : চিফ নিউট্রিশনিস্ট, ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড।

                                            খুলনায় ৩৩ প্রবাসী ‘হোম কোয়ারান্টাইনে’ - প্রতীকী






করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুলনায় ‘হোম কোয়ারেনটাইন’ জোরদার করা হচ্ছে। বিদেশে ফেরত ব্যক্তিদের কার্যকর ‘হোম কোয়ারেনটাইন’ নিশ্চিত করতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ৩০ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তি নিজ গৃহে কোয়ারেনটাইনে আছেন এবং খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

খুলনা বুধবার বিকেলে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভায় এসকল তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়।


তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, কোয়ারেনটাইনের নিদের্শনাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জনবহুল স্থানে বিচরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়িতে কোয়ারেনটাইনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে সরকারিভাবে স্থাপিত কোয়ারেনটাইনে আশ্রয় নিতে হবে। সকল ব্যবস্থার সঠিক প্রতিপালন নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিম গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। হোম কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি এ কমিটি প্রতিদিন দুইবার করে পর্যবেক্ষণ করবে। এ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরা সুলতানাসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

                                                                - ছবি : সংগৃহীত


পেঁয়াজ নেই, এমন কোন রান্না ঘর হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ কোন রান্না শুরু করার আগে, কড়াইতে তেল দেয়ার পরপরই সাধারণত: যে উপাদানটি ব্যবহার করা হয় সেটি পেঁয়াজ। শুধু অন্য রান্নার অনুষঙ্গ নয়, কাঁচা খেতেও পেয়াজ বেশ সুস্বাদু। এছাড়া সরাসরি কাঁচা পেঁয়াজ, ভর্তা, আচার এবং সালাদ হিসেবেও পেঁয়াজের কদর কম নয়।

পেঁয়াজের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণও। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই চাহিদা রয়েছে পেঁয়াজের। তবে, বেশ কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে ঝাঁজ বাড়ছে।


রোববার, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে ঘণ্টার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেয়াজের দাম।

পেঁয়াজ আসলে কী?
পেঁয়াজ আসলে কোন সবজি নয়। এটি আসলে একটি মশলা জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম এলিয়াম সেপা। এই বর্গের অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে রসুন, শ্যালট, লিক, চাইব এবং চীনা পেঁয়াজ। রসুনের মতোই এর গোত্র হচ্ছে লিলি।

পেঁয়াজ কোথায় উৎপন্ন হয়?
এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই উৎপাদিত হয়। তবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় ভারত এবং চীনে।



শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, 'সেসব দেশগুলোতেই প্রধানত পেঁয়াজ হয় যেখানে বেশি বৃষ্টি হয় না। পাশাপাশি হাল্কা শীত থাকে। সেজন্যই বাংলাদেশে পেঁয়াজ হয় শীতকালে। সেসময় দামও কম থাকে'।

বাংলাদেশে কী ধরণের পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়?
বাংলাদেশে যে সব এলাকায় শীত বেশি থাকে সেসব এলাকায় পেঁয়াজ বেশি জন্মায়।

জামাল উদ্দিন বলেন, "বাংলাদেশ এলিয়াম সেপা বা পেঁয়াজ যা মূলত একটি বাল্ব সেটাই উৎপাদিত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের পেঁয়াজ তেমন বড় হয় না"।

আকারে বড় না হলেও বাংলাদেশের পেঁয়াজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি ঝাঁজালো বেশি হয়। কারণ এতে এলিসিনের মাত্রাটা বেশি থাকে। যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য আমাদের রান্নাটাও অনেক বেশি মজা হয়।



হর্টিকালচারের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় সারা বছর পেয়াজ উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পলি-টানেল বা গ্রিন হাউজ তৈরি করে পেঁয়াজ উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পেঁয়াজের খাদ্যগুণ কী কী?
পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম বলেন, পেঁয়াজ আসলে মশলা জাতীয় খাবার। এর মূল উপাদান পানি, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। তবে পেঁয়াজে পানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি-প্রায় ৮৫ শতাংশ। এছাড়াও পুষ্টিগুণ বলতে গেলে, ভিটামিন সি, বি এবং পটাসিয়াম থাকে।

তিনি বলেন, "পেঁয়াজের খোসা ছাড়ালে যে গাঢ় বেগুনি রঙের একটি আস্তরণ পাওয়া যায় এতে বেশি পরিমাণে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ নিবারণ করে এমন উপাদানও রয়েছে পেঁয়াজে। এটি হাড়েরও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে"।

জামাল উদ্দিন বলেন, শরীরে পটাসিয়াম এবং মিনারেল বা খনিজের চাহিদা পূরণের একটি ভালো উৎস পেয়াজ। এই উপাদানগুলোই পেয়াজে অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ডায়েটারি ফাইবার থাকে অনেক বেশি যা প্রায় ১২ শতাংশ। পেয়াজে মধ্যে কোন ফ্যাট নাই। এছাড়া পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি এবং আয়রন পাওয়া যায়।

রান্নায় পেঁয়াজ কী স্বাদ যোগ করে?
পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম , "পেয়াজ যেহেতু সালফার উপাদান থাকে তাই এটি রান্নায় এক ধরণের ঝাঁজালো স্বাদ যোগ করে"।

তবে নিজস্ব স্বাদ যোগ করার ছাড়াও রান্নায় পেঁয়াজের সব চেয়ে বড় কাজ হচ্ছে, রান্নার অন্যান্য উপকরণের স্বাদ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।



তিনি বলেন, "পেয়াজ তিতা, টক, মিষ্টি বা ঝাল এমন ধরণের কোন স্বাদ যোগ করে না। তবে সালফার কম্পোনেন্ট থাকায় পেয়াজ খাবারের যেকোনো স্বাদকে অনেক বেশি তীব্র করে"।

বেশিক্ষণ রান্না করলে পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন নষ্ট হলেও অন্য উপাদানগুলো ঠিক থাকে।

পেঁয়াজ দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে খাদ্যগুণ কি নষ্ট হয়ে যায়?
পেঁয়াজে নানা ধরণের ভিটামিন ও প্রাকৃতিক তেল থাকে যা রান্নার পর নষ্ট হয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়।

তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, পেয়াজে ভোলাটাইল কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো নাকে-মুখে লাগে সেগুলো হয়তো নষ্ট হয়। কিন্তু পেঁয়াজের অন্য উপাদানগুলো নষ্ট হয় না।

খোলা রান্না করলে বা কেটে খোলা রাখলে পেয়াজের খাদ্যগুণ নষ্ট হয় না। তবে সালফার কম্পোনেন্ট কমে আসে। রান্নার পর খোলা অবস্থায় রাখলে কোন সমস্যা হয় না।

পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনিম বলেন, "বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা হলে ভিটামিন ও পটাসিয়াম কমে আসতে পারে। এছাড়া বাকি সব খাদ্য উপাদান নষ্ট হয় না"।

তবে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে খাদ্যগুণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মধ্যম তাপমাত্রায় পেঁয়াজ রান্না করার পরামর্শ দেন তাসনীম চৌধুরী। পেঁয়াজের গুনাগুণ পেতে হলে কাঁচা পেয়াজে খাওয়ার অভ্যাস বেশি করতে হবে বলেও জানান তিনি।

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন?
পেঁয়াজ কেটেছেন কিন্তু চোখে পানি আসেনি এমনও কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ দুরূহ। কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, "পেঁয়াজের ভলাটাইল কম্পাউন্ড যা এলিসিন নামে পরিচিত, এটি পেঁয়াজের ঝাঁঝের জন্য দায়ী। আর কাটার সময় এটি চোখে লাগে বলেই চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং পানি পড়ে"।



তিনি বলেন, জাপান বা অন্য দেশে পেঁয়াজ বড় মাপের হয় এবং সেগুলোতে এলিসিনের মাত্রা কম থাকার কারণে সেখানে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলে না। এসব দেশে পেয়াজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাঁচা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে।

পেঁয়াজের ঔষধি গুণ কী?
বিবিসি গুড ফুড তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ঐতিহাসিকভাবে পেঁয়াজের রয়েছে ঔষধি ব্যবহার। প্রাচীন আমলে কলেরা এবং প্লেগের প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হতো পেঁয়াজ। রোমান সম্রাট নিরো ঠাণ্ডার ওষুধ হিসেবে পেঁয়াজ খেতেন বলেও শ্রুতি রয়েছে।

বাংলাদেশে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজে থাকা এলিসিন নামের উপাদান অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে।

অনেক সময় এটি কিছু কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখা, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে পেঁয়াজের ব্যবহার দেখা যায়।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ কাঁচা খেলে সর্দি-কাশি খুব কম পরিমাণে হয়। এটা মানুষের শরীরকে রোগ-প্রতিরোধক হিসেবে হিসেবে করে।

পেঁয়াজের গন্ধ দূর করবেন কীভাবে?
অনেক সময় পেঁয়াজ কাটলে বা কাঁচা পেঁয়াজ খেলে হাতে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়। এর জন্য অনেক সময়ই পেঁয়াজকে এড়িয়ে চলি আমরা। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই পেঁয়াজের এই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হাতে গন্ধ হলে পেঁয়াজ কাটার পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। তার পর লবণ দিয়ে হাত কচলে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার সাবান এবং গরম পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে থাকবে না কোন গন্ধ।

নিঃশ্বাসের গন্ধ দূর করতে হলে ধনিয়াপাতা বা একটি আপেল খেয়ে নিলে দূর হবে তাও। বিবিসি।

                                                    ব্ল্যাকহেড মুক্ত ত্বক - ছবি : সংগ্রহ





ব্ল্যাকহেডস আসলে কী?
আমাদের ত্বকে রয়েছে অসংখ্য লোমকূপ যা দ্বারা ত্বক নিঃশ্বাস নেয়। কখনো কখনো মৃতকোষ ও ত্বক থেকে নিঃসৃত তেল লোমকূপের গোড়ায় জমে গোড়াগুলো বন্ধ হয়ে যায়, এভাবেই ব্ল্যাকহেডসের জন্ম হয়। ত্বকের স্বাভাবিক মেলানিন এবং তেল বাতাসের সংস্পর্শে এলে তা অক্সিডাইজ হয়ে কালো রঙ ধারণ করে। রঙ কালো দেখানোর কারণে অনেকেই ব্ল্যাকহেডসকে ময়লা ভেবে ভুল করেন। কিন্তু আসলে ময়লার সাথে ব্ল্যাকহেডসের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনার চেহারায় ব্ল্যাকহেডস থাকা মানে এই নয় যে, আপনি অপরিচ্ছন্ন। ব্ল্যাকহেডস সাধারণত থুতনি, নাক ও নাকের আশপাশের অংশেই বেশি দেখা যায়। ব্ল্যাকহেডস অনেক সময় বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায়, টিনেজ বয়সে ব্ল্যাকহেডসের উপদ্রব হয়ে থাকে। বিভিন্ন ওষুধ যেমন করটিকস্টারয়েড, অ্যান্ড্রজেন বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করলেও ব্ল্যাকহেডস হতে পারে। হতাশার কথা হলো, ব্ল্যাকহেডসের পেছনের সবগুলো কারণ এখনো পুরোপুরিভাবে আবিষ্কৃত হয়নি।

ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কিছু উপাদান এড়িয়ে চলুন
অনেক প্রসাধনী আছে যা ত্বকের তেল নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে ব্ল্যাকহেডস সমস্যা আরো জটিল করে তুলতে পারে। এসব সমস্যা হয় কিছু উপাদানের কারণে যা বিভিন্ন প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এসব উপাদানের মধ্যে আছে অ্যালকোহল, পেপারমিন্ট, মেন্থল, লেবু ও ইউক্যালিপ্টাস। যেসব প্রসাধনী তৈরিতে এসব উপাদান ব্যবহার করা হয়, সেসব উপাদান এড়িয়ে চলুন। সাবান দিয়ে মুখ ধোবেন না। সাবানকে শক্ত আকৃতি দেয়ার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তা মুখের লোমকূপ বন্ধ করে দিয়ে ত্বকে ব্ল্যাকহেডস ও অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
স্ক্রাবিং
ব্ল্যাকহেডস কখনো স্ক্রাবিং করে দূর করা যায় না। ব্ল্যাকহেডস লোমকূপের এত গভীর পর্যন্ত থাকে যে স্ক্রাবিং করে তা নির্মূল হবে না, উল্টো অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করার ফলে ত্বকে জালাপোড়া হতে পারে। ত্বক বেশি ঘষলে বা স্ক্রাবিং করলে ত্বকের সেবাম উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। স্ট্রিপ ব্যবহার করলেও ব্ল্যাকহেডস একেবারে দূর হয় না, শুধু ক্ষণকালের জন্য ব্ল্যাকহেডসের উপরি ভাগ দূর হয়। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করা যাবে না, বা স্ট্রিপ্সও ব্যবহার করা যাবে না।




ট্রপিকাল রেটিনয়েড
রেটিনয়েড হতে পারে ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তির পথ। সঠিক পরিমাণে ও সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে অচিরেই। রেটিনয়েড কোষের আঠালোভাব দূর করে এবং নতুন কোষ উৎপাদন করে, ফলে ব্ল্যাকহেডস দূর হয়। যাদের ত্বক সেনসিটিভ তারা ০.৫ শতাংশ রেটিনল ক্রিম বা এমন প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন যাতে আছে রেটিনল। রেটিনল ব্ল্যাকহেডসকে বাড়তে দেয় না। যাদের ত্বক সেনসিটিভ নয়, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ট্রপিকাল রেটিনয়েড ব্যবহার করতে পারেন।

স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত স্ক্রাব
স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করে আলতো করে ত্বকের উপরি ভাগ পরিষ্কার করতে হবে। স্ক্রাব করার ফলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে না কিন্তু ত্বকের মৃতকোষ দূর হবে, স্ক্রাবে থাকা স্যালিসাইলিক এসিড তখন পোরে ঢুকতে পারবে সহজেই। এতে পোরগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। তবে মনে রাখতে হবে, তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের সপ্তাহে তিনবারের বেশি স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্য দিকে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা সপ্তাহে দু’বার ও সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারীরা সর্বোচ্চ একবার স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারবেন।

ক্ল্যারিসনিক ব্রাশ বা সনিক ক্লিনজিং সিস্টেম
ইলেকট্রিক ক্ল্যারিসনিক ব্রাশ খুব সুন্দরভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে সক্ষম, যা খালি হাতে করা সম্ভব না। খেয়াল রাখবেন, এটি যেন অতিরিক্ত ব্যবহার না করা হয়। সপ্তাহে এক থেকে দু’বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।

ময়েশ্চারাইজ করুন
ত্বকে ব্রণ বা ব্ল্যাকহেডস থাকুক বা না থাকুক, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য রেটিনয়েড ক্রিম ব্যবহার বা স্ক্রাবিং করার ফলে তা ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে, তাই ত্বক সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। এতে করে ত্বক নরম থাকবে, ফেটে যাবে না। ফলে ব্ল্যাকহেডস দূর করার জন্য স্ক্রাবিং বা অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা প্রথমে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তার ওপর রেটিনয়েড ক্রিম ব্যবহার করুন।



প্রোফেশনাল সমাধান
ঘরে বসে যদি কোনোভাবেই ব্ল্যাকহেডস দূর করতে না পারে, তখন অন্য উপায় আছে আপনার জন্য, কিন্তু সেগুলো একটু খরচ ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। লাইট পিল করাতে পারেন। এতে বন্ধ লোমকূপের মুখ খুলবে এবং ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হবে। মেডিক্যাল ফেসিয়াল ও মাইক্রোডারমাব্রেসন ও একই উপকার করতে সক্ষম।

কিছু ঘরোয়া সমাধান
ঘরে বসেও তৈরি করে নিতে পারেন ব্ল্যাকহেডস দূর করার কার্যকরী প্রসাধনী। এতে যা যা উপকরণ লাগে সব আপনার রান্নাঘরেই আছে, দামও কম।
প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিয়ে নিন। একটি ডিমের সাদা অংশ অনেকক্ষণ বিট করুন যেন একটা ফোমের মতো প্যাক তৈরি হয়। এটা মুখে অল্প অল্প করে লাগিয়ে নিন। ডিমকে আঠা হিসেবে ব্যবহার করে পুরো মুখে শুকনো টিস্যু পেপার বিছিয়ে দিন। এবার শুকাতে দিন। টিস্যু বেশি ভেজা হলে প্রয়োজনে আরেক লেয়ার টিস্যু লাগান মুখে। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে টিস্যু নিচ থেকে ওপর দিকে টেনে তুলুন। ভালোভাবে মুখ ধুয়ে বরফ ঘষে নিন।

এক মগ ফুটন্ত পানিতে দু’টি গ্রিন টিব্যাগ দিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর ফ্রিজে দুই ঘণ্টা রেখে চা ঠাণ্ডা করে নিন। মৃদু কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে-মুছে নিন। তুলা দিয়ে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্ল্যাকহেডসের ওপরে লাগান। যদি মুখে ব্রণ থাকে তাহলে সারা মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নরম কাপড় দিয়ে মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। অন্তত ছয় সপ্তাহ একটানা প্রতিদিন কমপক্ষে একবার করে লাগাতে হবে। একদিনও বাদ দেয়া যাবে না। নিয়মিত গ্রিন টি খেলেও ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস কমে।
তিন টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ আস্ত ওটস মিশিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর ভালোমতো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। সারা মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আবারো মুখ ধুয়ে নিন।
ব্ল্যাকহেডস দূর করতে মেথি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান হিসেবে প্রমাণিত। ১ টেবিল চামচ মেথি ৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট ব্ল্যাকহেডসের ওপর লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।



কী কী করবেন ও কী কী করবেন না
হ পানিতে দ্রবণীয় হালকা ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করবেন। ভেজা, নরম ও পরিষ্কার এক টুকরো কাপড়ে ক্লিনজার নিয়ে ধীরে ধীরে আলতোভাবে ত্বকের ওপরিভাগ পরিষ্কার করতে হবে, জোরে ঘষবেন না।।
হ প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে জেল-বেসড ফর্মুলা বেছে নিন। জেল-বেসড ফর্মুলার লোশন বা ক্রিম পাওয়া না গেলে অন্তত হালকা ফর্মুলার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। ভারী ফর্মুলার ক্রিম বা লোশন লোমকূপের মুখ বন্ধ করে ব্ল্যাকহেডসের জন্ম দেয়।
হ প্রতিদিন স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন।
হ ত্বক থেকে নিঃসৃত তেল বা সেবামের পরিমাণ কমাতে সপ্তাহে তিন দিন মুলতানি মাটির প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হ এমন একটি টোনার ব্যবহার করুন যাতে আছে ‘নিয়াসিনামাইড’। এটি ত্বকের লোমকূপ বা ‘পোর’-এর মুখ ছোট করতে সাহায্য করে। ফলে ব্ল্যাকহেডস কমে আসে।

হ তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাকহেডস বেশি দেখা যায়। তাই যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের প্রতিদিন চার-পাঁচবার মুখ ধোয়া উচিত।
হ অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা স্ক্রাবিং করলে ত্বকের সেবাম উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা ব্ল্যাকহেডস আরো বাড়িয়ে তোলে। তাই অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা স্ক্রাবিং করা যাবে না।
হ খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্ল্যাকহেডস বের করার জন্য কখনোই ত্বকে অতিরিক্ত জোরে চাপ দেয়া যাবে না, এতে ব্ল্যাকহেডসের আশেপাশের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হ চেহারায় বারবার হাত দেবেন না। ময়লা হাত ত্বকে লাগালে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে, যার ফলে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস বৃদ্ধি পায়।




সারা বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়েছে করোনা আতঙ্ক। এর মধ্যে মাস্কের সংকট দেখা যাচ্ছে ওষুধের দোকানে। এই অবস্থায় চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নেয়া যায় মাস্ক।

শুধু করোনার জীবাণু আটকাবে তাই-ই নয়, বাইরের দূষণ, ধুলাবালি আর নানা রোগের জীবাণু থেকে বাঁচতেও ছোট-বড় সবার প্রতিদিনই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।


জেনে নিন ঘরে মাস্ক বানানোর সহজ পদ্ধতি:

- চার ইঞ্চি করে দুই টুকরো সুতির কাপড় নিনি

- একটির সাথে আরেকটি সেলাই করুন



- সেলাই করার সময় ওপরের ছবিরমতো আধা ইঞ্চি পর পর ভাঁজ করে নিন

- এবার দুই পাশে রাবার লাগিয়ে নিন কান পর্যন্ত

এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আপনার মাস্ক।

বাড়ির সবার জন্য একবারে বেশি করে তৈরি করে রাখুন, এগুলো ব্যবহার করলে সব সময়ই জীবাণু থেকে নিরাপদে থাকতে পারবেন। সূত্র: ইউএনবি।

                               করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই যা করবেন - ছবি : এএফপি







বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন একটি দুটি করে বাড়ছে এবং সারা পৃথিবীতে এই রোগের দ্রুত বিস্তারের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচার হচ্ছে, তখন এ নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও বাড়ছে।
তবে সরকারের দিক থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশি এরকম লক্ষণ দেখা দিলেই হাসপাতালে দৌড়ানোর দরকার নেই। এরকম হলে তাদেরকে প্রথম বাড়িতে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
লোকজন কেন হাসপাতালে দৌড়াচ্ছে?
রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল মাস থেকে মওসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা শুরু হয়, শেষ হয় সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু এবছর এই মওসুম একটু আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে।
‘এই সিজন শুরু হয়ে যাওয়াতে যেটা হয়েছে যে অনেক মানুষের এখন সাধারণ জ্বর, সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা হচ্ছে। মানুষজন যেহেতু এখন সচেতন তাই তারা মনে করছে যে এটা হয়তো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।’
আর এজন্যে সাধারণ লোকজন পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছে বলে তিনি মনে করেন। শুধু লোকজনই নন কিছু কিছু চিকিৎসকও মনে করছেন যে এটা হয়তো এই ভাইরাসেরই সংক্রমণ।
লক্ষণ দেখা দিলে কী করতে হবে?
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মি. আলমগীর বলেন, ‘আপনার যদি এরকম লক্ষণ দেখা দেয় এবং গত ১৪ দিনে আপনার বিদেশ ভ্রমণের কোন ইতিহাস না থাকে, দয়া করে আপনি বাড়িতে থাকুন, ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা করুন, নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে যান।’
তিনি বলছেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিক কিম্বা তাদের পরিবারের সদস্য।
আলমগীর জানান, এসব পরিবারের বাইরে বাংলাদেশে আর একজনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তিনি বলেন, যদি তাদের বাইরে কমিউনিটিতে এই ভাইরাসটি পাওয়া যায় তাহলেই প্রমাণ হবে যে এটি স্থানীয়ভাবেও ছড়াচ্ছে।
লক্ষণ তো একই
সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির সাথে করোনাভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে তেমন একটা তফাৎ নেই। সেকারণে কারো এরকম লক্ষণ দেখা দিলে তিনি কী করবেন? আলমগীর বলেন, বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশিদের পরিবার ছাড়া এখনও পর্যন্ত কমিউনিটিতে কোন সংক্রমণ হয়নি।
‘আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। সেরকম কিছু হলে আমরা ঘোষণা করে দেব। তখন কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যাবে। তখন কেউ টেস্ট করাতে চাইলেই করাতে পারবেন।’
অভিযোগ উঠেছে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এই সন্দেহে কেউ কেউ হাসপাতালে গেলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তারা বুঝতে পারছেন না যে কী করবেন- তারা কী নিজেদের অন্যদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখবেন নাকি তার জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষা করানো দরকার হবে?
‘আপনার যদি মনে হয় যে আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার বাড়ির বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই। আপনি আমাদের হট-লাইনে যোগাযোগের চেষ্টা করুন। আমাদের ১৭টি ফোন নম্বর আছে,’ বলেন তিনি।
কোথায় যোগাযোগ করবেন
ই-মেইলের মাধ্যমেও আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ইমেইলের ঠিকানা: iedcrcovid19@gmail.com
এর পাশাপাশি একটি ফেসবুক পাতাও খোলা হয়েছে। সেখানে বার্তা দেওয়া হলেও আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে। তিনি জানান, হট-লাইনে আজ বুধবার ৪ হাজার ৮০০ এর বেশি কল এসেছে। ফলে হট-লাইনে সবকিছু সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কোন পরিবারে যদি বিদেশ থেকে কেউ এসে থাকেন তাহলে তাদের আর সকলের কাছ থেকে আলাদা থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আইইডিসিআরের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
‘আমরা কিন্তু বাড়িতে গিয়ে নমুনা নিয়ে আসছি। আপনার যদি গলা ব্যথা, শুকনো কাশি অথবা জ্বর থাকে, আপনি বাড়িতে থাকুন, আমাদের টিম দিনের কোন এক সময় আপনার কাছে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।’
শ্বাসকষ্ট হলে
‘যদি কোন রকমের শ্বাসকষ্ট থাকে এবং আপনি ঢাকায় থাকেন তাহলে আপনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চলে যাবেন। তারা আপনাকে সেখানে ভর্তি করে আমাদেরকে খবর দেবে। এবং আমরা গিয়ে নমুনা নিয়ে আসবো। আপনার এখানে সেখানে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করার একদমই প্রয়োজন নেই।’
তিনি জানান, সারা বিশ্বেই দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, শুকনো কাশি এবং দুর্বলতা।
‘সুনির্দিষ্টভাবে এই তিনটি লক্ষণ যদি থাকে তাহলে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাদের পরামর্শ দেব। দরকার হলে নমুনা সংগ্রহ করবো।’
তিনি জানান, কেউ যদি মনে করেন যে তার ইনফ্লুয়েঞ্জার ওষুধ লাগবে, আইইডিসিআরে এলে তাকে তার ওষুধ বিনা পয়সাতেই দেয়া হবে। সূত্র : বিবিসি

                         ডব্লিউএইচও’র প্রটোকল মেনে করোণায় মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হবে - ছবি : সংগৃহীত





করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের একমাত্র মৃত ব্যক্তিকে ইসলামি নিয়ম অনুযায়ী দাফন করা হবে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বুধবার বিকেলে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, মুসলিম ব্যক্তিকে কিভাবে দাফন করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রটোকল আছে। করোনায় আক্রান্ত যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে একজন মুসলমান। তাকে ইসলামি রীতি অনুযায়ীই দাফন করা হবে। তবে তা আইইডিসিআর’র লোকজন করবেন। এ উদ্দেশ্যে আমাদের লোকজন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে চলে গেছেন। তারাই সবকিছু করবেন।

উল্লেখ্য করনোভাইরাসের বর্তমান প্রজন্মটি (কোভিড-১৯) খুবই ছোঁয়াচে। তবে মৃত ব্যক্তির হাতে, মুখে, নাকে, চোখে এমনকি যে যে স্থানে মুখের লালা লেগেছে সেখানে ভাইরাস থাকতে পারে। সে কারণে প্রচলিত যে রীতিতে একজন মুসলমান মৃত ব্যক্তিকে খালি হাতে ধরে গোসল করানো হয় এই ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে সেভাবে গোসল করানো বা ধরা যাবে না। সে কারণে আইইডিসিআর’র লোকজন গিয়ে দাফনের কাজটি করে দিয়ে আসবেন।

                           বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের - ছবি : সংগৃহীত




দেশে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকজনকে বিদেশফেরতদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই সাথে তারা আশ্বস্ত করছেন যে সাধারণ জ্বর ও ঠান্ডা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

তাদের পরামর্শ হলো, পরিষ্কার থাকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং কারও মাঝে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) যোগাযোগ করা।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাধারণ সর্দি, কাশি ও জ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯-এ বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৮ হাজার ২৩২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২ হাজার ৮৬৬ জন। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০ দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন।

কোভিড-১৯ এর লক্ষণের মাঝে রয়েছে মাথা ব্যথা, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট ও শরীরে ব্যথা। ভাইরাসটির আক্রমণে প্রথমে জ্বর দেখা দেয়। পরে শুকনো কাশির সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।



অধ্যাপক আজাদ বলেন, এখন প্রতিদিনই করোনাভাইরাস সন্দেহে বেশি রোগী আসছেন। সাধারণ জ্বর-কাশি হলেও চলে আসছেন। এতে অন্য রোগীরা আতঙ্কিত হন।

তার পরামর্শ হলো, শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দ্রুত পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে আসুন। আর যদি কম শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে আগে আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করুন।

যে কারও করোনাভাইরাস সন্দেহ হলে আগে পরীক্ষা এবং তারপর চিকিৎসা নিতে হবে, বলেন তিনি।

করোনাভাইরাস নিয়ে তার উপদেশ হলো, যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের থেকে দূরে থাকুন। গণপরিবহন বা বাইরে চলাফেরায় সতর্ক থাকুন। প্রতিদিন কাজের আগে ও পরে বা পরিবহনে ও অফিসে ঢুকার আগে ও পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যাক্সিসল দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করুন।

অধ্যাপক আজাদ আরও পরামর্শ দিয়ে বলেন, বেশি বেশি পানি পান করুন। সাধারণ জ্বর হলে প্যারাসিটামল এবং গলা ব্যথা হলে হিস্টাসিন খান।



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে। প্রতিদিনই ৩-৪ শিশুকে করোনাভাইরাস সন্দেহে নিয়ে আসা হচ্ছে। এটি হচ্ছে মূলত আতঙ্কের কারণে।

তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার হার কম। তারপরও সতর্ক থাকতে হবে।

তার মতে, বিদেশ থেকে ফেরা কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর সর্দি, কাশি ও জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে। অন্যথায় আতঙ্কিত না হয়ে সাধারণ ওষুধ খেতে হবে।

তিনি বলেন, ছোট বাচ্চাদের সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরের কারও সংস্পর্শে নেয়া যাবে না। বাসায় রাখা ভালো। কাজের লোক বা গৃহশিক্ষক থেকেও সচেতন থাকতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ছোট-বড় সবাইকে পরিষ্কার রাখতে হবে।

তার পরামর্শ হলো, বাসাবাড়ি ও অফিস-আদালত যে যেখানেই থাকুন সতর্ক থেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে দূরত্ব বজায় রেখে। সর্দি, কাশি ও জ্বর থাকলে গণপরিবহন ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেককে পরিবহনে উঠার আগে হ্যাক্সিসল ব্যবহার করে উঠতে হবে। বাস, ট্রেন ও নৌপরিবহনে যাত্রী ওঠানোর আগে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

যদি করোনাভাইরাস সন্দেহ হয় তাহলে দ্রুত সময়ে আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, বলেন তিনি।

তিনি জানান, বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। যিনি বিদেশ থেকে এসেছেন তাকে অবশ্যই আলাদা হয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সূত্র : ইউএনবি



করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কাতারের সব মসজিদ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জোহর নামাজের সময় থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ এই সময়ে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কাতারে কোনও মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত এবং জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে না।
কাতারে নতুন করে আরও ৩৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৯ জনের দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন কাতারি নাগরিক বলেও জানিয়েছে তারা।
এদিকে পিরামিডের দেশ মিসরেও করোনা বিস্তার রোধে মাজার, মসজিদসহ সব ধরনের দর্শনীয় স্থান বন্ধ করে দিয়েছে। মিসরের সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে রাবওয়াহ মন্ত্রণালয় সব স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
রবওয়াহ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব এবং দেশটির সুফিদের অনুমতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিসরর এখন পর্যন্ত করোনায় ১২৬ জন আক্রান্ত ও দুজন মারা গেলেও বিশ্বের ১৩২ দেশ ও অঞ্চলের ১ লাখ ৮২ হাজার ৬০৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এ মহামারিতে। এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭ হাজার ১৭১।




পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে বিশেষ বন্ধুত্বের বন্ধন ঐতিহাসিক। এর ম‚ল গ্রোথিত রয়েছে দুই দেশের মানুষের হৃদয়ের গভীরে। তাই সব সময় পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন। মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গ্রেট হল অব পিপলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় শি জিনপিং বলেন, আমরা পাকিস্তানের ঐক্য, এর স্থিতিশলীতা ও সমৃদ্ধি দেখতে চাই। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ যতই পরিবর্তন হোক, সব সময় পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন। তার ভাষায়, অটুট বন্ধনে আমাদের বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন। এক্ষেত্রে আমাদের কৌশলগত সহযোগিতা বিস্তৃত হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সমর্থন দিতে গঠনম‚লক ভ‚মিকা পালন করবে চীন। পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ আখ্যায়িত করে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চ‚ড়ান্ত বিজয়ের জন্য চীনা জনগণ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। জবাবে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, করোনা ভাইরাসে চীনা জনগণ যে দুর্ভোগে পড়েছে তাদের প্রতি সংহতি প্রদর্শন করতে তিনি চীন সফরে গিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, কিভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় তার সক্ষমতা আছে চীনের। চীনারা তা প্রদর্শন করেছে। এটা অন্য দেশগুলোর জন্য উদাহরণ হতে পারে। এরপর দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে সহযোগিতামূলক ডকুমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। ডন।



সব কিছু ঠিকঠাক চললে, এখন ব্যাট বলের লড়াইয়েই থাকার কথা ছিল তাদের। সূচিতে গতকালও ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত সব বন্ধ। ফের খেলা কবে চালু হবে, তা অনিশ্চিত। খেলা বন্ধ থাকলে ক্রিকেটাররা ঢাকায় থাকবেন, নাকি ফিরে যাবেন যার যার বাড়িতে তা নিয়েও আছে দোলাচল।

খেলা বন্ধ, বন্ধ দলগুলোর আনুষ্ঠানিক অনুশীলনও। বন্ধের মাঝেও মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, ইবাদত হোসেনরা ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন। আপাতত ঢাকাতেই আছেন তারা। এখানে বসেই ফিটনেস ঠিক রাখবেন, নাকি বাড়ি চলে যাবেন- এই নিয়ে অনেকের মধ্যেই আছে দ্বিধাদ্ব›দ্ব।

মিরপুর একাডেমি মাঠ আর জিমনেশিয়ামে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার যার যার মত ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন। আড্ডায়, আলাপে সবার মাঝেই একরকম অনিশ্চয়তা আর উদ্বেগ। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার খবর আসছিল মোবাইলের স্ক্রিনে। এর মাঝেই দেশে প্রথম এই ভাইরাসে মৃত্যুর খবরও পায় তারা। গতকাল পর্যন্ত সারাবিশ্বে দুই লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে মারা গেছে প্রায় ৮ হাজার ১১ জন মানুষ। ফিটনেস ট্রেনিং করে ফেরার পথে আবু জায়েদ রাহি শুনে বললেন, ‘এখন সত্যিই ভয়ই লাগছে। আগে এতটা ভয় লাগেনি। আর কি করব তাও বুঝতে পারছি না। লিগ শুরু না হলে তো সিলেট চলে যেতাম। এখন যেতেও পারছি না, আবার থেকেইবা কি করব।’

সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেনও আছেন সেই প্রতীক্ষায়। ইবাদত জানালেন খেলা চালু না হলে সিলেট গিয়ে রাহি আর খালেদের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ রানিং করে ঝিরুচ্ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। লিগ আর সহসা শুরু না হলেও অনেকের মতো তার বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। তার মতে ঢাকাতে থাকলেই বরং নিরাপদ থাকা যাবে বেশি, ‘না বাড়ি যাব না। কারণ চিকিৎসার দিক চিন্তা করলে ঢাকাতেই ব্যবস্থা ভাল। খেলা বন্ধ থাকলে তখন হয়ত বাসায় বসে ফিটনেস নিয়ে টুকটাক কাজ করতে হবে। এছাড়া কিছু করার নেই।’

মুস্তাফিজ আবার বাড়ি যাওয়ার খবরটা পেতেই যেন উদগ্রীব। এসেছিলেন বোলিং নিয়ে কিছু কাজ করতে। কিন্তু পুরো আবহ অনিশ্চয়তায় এমনটাই মোড়া যে ঠিকমতো কাজে মন বসাতে পারেননি। এর, ওর সঙ্গে আড্ডা খুনসুটির সঙ্গে ঘুরেফিরে এসেছে বৈশ্বিক মহামারির প্রসঙ্গ। চেনা সাংবাদিক দেখে জানতে চাইলেন খেলা চালু হবে কিনা তার খবর, ‘খবর টবর আনতে পারলেন ভাই? একটা কিছু জানান, তাহলে বাড়ি চলে যেতে পারি।’ তবে প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় বাংলাদেশের গ্রামগুলোও এখন আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারের নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে না থেকে অনেক প্রবাসীর অবাধ চলাফেরার গল্প চাউর হয়েছে। সাজাও হয়েছে অনেকের। বাড়ি যাওয়ার যাত্রাপথও এখন শঙ্কামুক্ত নয়।

গত সোমবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে সব খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বিসিবির ঘোষণা একটু ভিন্ন। তারা জানায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ থাকবে কেবল দ্বিতীয় রাউন্ড। সূচিতে ১৮ ও ১৯ মার্চ হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। তবে ১৯ মার্চেই ফের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নতুন সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথাও জানায় বোর্ড। সে সিদ্ধান্ত এখন অনেকটা হয়েই আছে বলা যায়। প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন আভাস দিলেন সহসাই শুরু হচ্ছে না খেলা। তবে আজ বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান এসেই দেবেন চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, সেই সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে নেতিবাচক। অর্থাৎ এপ্রিলের আগে আর মাঠে লিগ ফেরার সম্ভাবনা নেই।

পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় ক্রিকেটাররাও এমন সিদ্ধান্তের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানান মেহেদী হাসান মিরাজ, ‘সবার আগে কিন্তু জীবন-মরণ। এর থেকে তো বড় কিছুই হতে পারে না। নিরাপত্তা আগে, তারপর সবকিছু। যদি বাঁচতে পারি অবশ্যই আমরা ক্রিকেট খেলতে পারব। ক্রিকেট বোর্ড আছে, বাংলাদেশ সরকার আছে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন অবশ্যই সবার ভালোর জন্যই নেবেন। সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তারা সিদ্ধান্ত দেবেন।’

যদি লম্বা সময়ের জন্য খেলা বন্ধ থাকে তাহলে ফিটনেস ঠিক রাখা হতে পারে মুশকিল। বাড়িতে গিয়ে রানিং করে ফিটনেস ঠিক রাখার চিন্তা মোস্তাফিজের। মিঠুনও জানালেন, ফিটনেস হয়ত ঠিক রাখা যাবে কিছুদিন। কিন্তু সময়টা যদি প্রলম্বিত হয়, তবে? ক্রিকেটারদের আশা তাদের দোটানার এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে দ্রæত। আপাতত সবটাই তাই সময় আর পরিস্থিতির হাতে।



সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। কিছুতেই এর বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত মহামারী ঘোষিত রোগটির উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে প্রায় ১৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

প্রতিনিয়তই বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর সে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। চীন থেকে ছড়ানো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এর মধ্যে ২ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২ লাখ ৯৯ জন। আর ইতোমধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১২ জনের।
মহামারি এই ভাইরাসের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ফুটবলের সব ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে কোপা আমেরিকার আসর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব প্রধান ফুটবল লিগগুলো অপেক্ষায় রয়েছে মাঠে ফেরার। এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিøউএইচও) পাশে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা (ফিফা)।
জাতিসংঘের বিশেষায়িত এই সংস্থাকে করোনার বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির পক্ষ থেকে-এমন খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গনমাধ্যম ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড।
এই ভাইরাসের ছোবল রুখে দিতে এবার দুই সংস্থা একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। এমন সঙ্কট মোকাবিলায় সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের প্রধান। পাশাপাশি আক্রান্ত ফুটবল সংশ্লিষ্টদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন ইনফান্তিনো, ‘করোনায় আক্রান্ত ফুটবল সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী সহায়তা তহবিল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি আমরা। আশা করি ফুটবল পরিবারের সবাই এতে এগিয়ে আসবেন।’



প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। ১৮-২৮ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


                   গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ তাঁদের স্বজনরা।







ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণ। তাঁর নামও বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু ওরা পারেনি। দেশে এখন জন্ম নিয়েছে কোটি কোটি মুজিবুর। তাই শুধু বাংলাদেশই নয়, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির পিতাকে স্মরণ করেছে বাঙালি জাতি।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদ্যাপন করবে বাংলাদেশ। এই মুজিববর্ষকে বিশ্বস্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। ফলে বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনে সূচনা হয়েছে বছরব্যাপী কর্মসূচির।

মুজিববর্ষ সাড়ম্বরে উদ্যাপনের সব প্রস্তুতি সরকার নিলেও নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সেই আয়োজন সীমিত করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়। দিবসটিতে স্কুল-কলেজে শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা এবার হয়নি। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরে সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মহান স্থপতির প্রতি সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মরণে সেখানে তাঁরা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়।  এরপর বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

পরে ছোট বোন শেখ রেহানা ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, পুত্রবধূ ক্রিস্টিনা জয়, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছেলে ও মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে  রাষ্ট্রপতি সকাল সাড়ে ১১টায় এবং দুপুর সোয়া ২টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা : গতকাল ফুল ফুলে ছেয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সর্বস্তরের জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয় সমাধিসৌধের তিনটি ফটক। দেশের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও বঙ্গবন্ধুপ্রেমীরা আসেন শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে।

দোয়া ও প্রার্থনা : জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সসহ জেলার সব মসজিদ ও মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও প্রার্থনাসভা। এদিন দুপুরে জোহরের নামাজের পর জেলার সব মসজিদে দোয়া এবং সন্ধ্যায় সব মন্দিরে প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্রি বাস সার্ভিস : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ই মার্চ থেকে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড় থেকে টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স পর্যন্ত বিনা মূল্যে যাত্রী পরিবহনে বিআরটিসি বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করেছে।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থান সাজানো হয়েছে অপরূপ সাজে। বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সসহ আশপাশ এলাকায় তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।

বিমানবাহিনীর মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার আকাশে ‘একশ’ লিখে সালাম প্রদর্শন করে বিমানবাহিনীর বিমানগুলো। ১০টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত চলে এ উড্ডয়ন।

বায়তুল মোকাররমে ১০০ বার কোরআন খতম : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল দুপুর ১২টায় ১০০ জন কোরআনে হাফেজের মাধ্যমে ১০০ বার পবিত্র কোরআন খতম সম্পন্ন হয়েছে। কোরআন খতম শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

সাভার সেনানিবাসে নানা কর্মসূচি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সাভার সেনানিবাসে বিভিন্ন কর্মসূচি উদ্যাপিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টায় সাভার সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার এবং ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীনের উপস্থিতিতে সেনানিবাসে কর্মরত সব সেনা সদস্যের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সব ইউনিটে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রদর্শিত হয়।

অন্যদিকে আগের রাত ১২টা ১ মিনিটে সাভারে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

আইএসপিআর : নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদের সভাপত্বিতে এ অনুষ্ঠানমালা সম্পাদিত হয়।

মুজিববর্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি : মুজিববর্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে ১০০টি নতুন বৃক্ষ রোপণ করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ। গতকালই সারা দেশে ৩৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০০টি করে মোট ৩৩ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হয়।

ইউজিসিতে আলোচনাসভা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথি এবং কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ওমর ফারুক।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী : গতকাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকা পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ১০০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার সূচনা করা হয়। জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনা সদস্য এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশপথ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুসজ্জিত করা হয়। এ ছাড়া সেনানিবাসগুলোর সব মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

নৌবাহিনী : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর সব ঘাঁটি ও জাহাজগুলোয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এতে নৌবাহিনীর সব স্তরের সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নাবিকরা অংশগ্রহণ করেন। নৌ-অঞ্চলের মসজিদগুলোতে বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়।   

বিমানবাহিনী : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে পালন করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম আবুল বাশার, বিমান সদরের পিএসওগণ, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশারের অধিনায়কসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিমানসেনারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ সময় প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম আসিফ ইকবালসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এ ছাড়া নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডার্মাটোলজি এসটিডি অ্যান্ড এইডস, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সমবায় অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, জিটিসিএল, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ), বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।



সারা বিশ্ব তোলপাড় করোনাভাইরাস আতঙ্কে। একের পর এক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। এর হাত থেকে রেহাই পেলোনা বাংলাদেশও। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাঁদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আর পাঁচ জনের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু করোনাভাইরাসই নয়। যে কোনও রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রত্যেকের জোর দেওয়া উচিত ইমিউনিটি বাড়ানোয়। অর্থত্‍ শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খাদ্যাভ্যাস। এই ৫ ফল নিয়মিত খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেখে নিন...

তরমুজ
মওশুমি ফল তরমুজ গরমে শুধুমাত্র শরীর ঠাণ্ডাই রাখে না এতে মজুত গ্লুতাথিওন নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। বাড়ায় জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা।

কমলা
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালি করতে কমলালেবুর জুড়ি নেই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা সর্দি কাশি হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে।

​লেবু
বছরের যে কোনও সময়ে, যে কোনও জায়গায় সহজেই পাওয়া যায় এই জাদুকরি ফলকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর পাতিলেবু। প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে একটা পাতিলেবু রস করে তার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান নিয়মিত।

পেঁপে
প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন যে পরিমাণে ভিটামিন সি প্রয়োজন তার সিংহভাগই পেয়ে যাবেন পেঁপেতে। ভিটামিন সি-র পাশাপাশি এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ফোলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

​স্ট্রবেরি
লাল টুকটুকে স্ট্রবেরিতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলও যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া




দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার করতে প্রতি বিভাগে দ্রুত করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইউনিটগুলো স্থাপনের ফলে প্রতিটি বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের তথ্য, চিকিৎসা সুবিধাসহ সব ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা সহজ ও জোরদার হবে। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে বেশি মানুষ কোয়ারাইন্টিনে রাখার প্রয়োজন হলে ঢাকার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানও প্রস্তুত করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশফেরত প্রতিটি ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন থাকার সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মের অন্যথা হলে দেশের সংক্রামক রোগের নির্ধারিত আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে সভায় করোনাভাইরাস ইস্যুতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়লে কী উদ্যোগ নেয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জোরালো ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সচিবকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

এ সময় জানানো হয় নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের যোগাযোগের জন্য ১৭টি হটলাইন খোলা হয়েছে।

নম্বরগুলো হচ্ছে- ৩৩৩, ১৬২৬৩, ০১৫৫০০৬৪৯০১, ০১৫৫০০৬৪৯০২, ০১৫৫০০৬৪৯০৩, ০১৫৫০০৬৪৯০৪, ০১৫৫০০৬৪৯০৫, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।



বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ।

সত্তরোর্ধ এই ব্যক্তি বিদেশফেরত নন। অন্য একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার কারণে তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন।

তিনি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

তার কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ফুসফুসে সমস্যা এবং হার্টের অসুখ ছিল। হার্ট সমস্যার কারণে সম্প্রতি তার স্টেনটিং বা রিং পরানো হয়।

তিনি গত কয়েকদিন হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন।

গতকাল (মঙ্গলবার) শনাক্ত হওয়া দু'জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।

এছাড়া নতুন চার জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

তাদের করোনাভাইরাসের উপসর্গ মৃদু হলেও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে। একজন এর আগে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

নতুন করে যে চারজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।

চারজন নতুন রোগীর একজন পূর্বে আক্রান্ত এক ব্যক্তির পরিবারের সদস্য।

বাকি তিনজন সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

ঐ তিনজনের মধ্যে দু'জন ইটালি থেকে ফিরেছেন এবং একজন কুয়েত থেকে ফিরেছেন বলে জানানো হয়।

করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা নিয়ে অভিযোগ
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের কয়েকটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্তের পরীক্ষা না করার বিষয়ে বিভিন্ন রকম অভিযোগ উঠে এসেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে।

এমন অভিযোগ উঠেছে যে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালকের কাছে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করেন যে 'প্রকাশ্যেই' অনেকক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটছে।

"এই ধরণের ঘটনা অনেকদিন ধরেই হচ্ছিল। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে, হাসপাতালের সাথে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।"


তবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কিট ঢাকাতেই জমা রয়েছে বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

"আমরা জানি, এই ভাইরাস পরীক্ষা করার কিটের সঙ্কট সারাবিশ্বেই রয়েছে। আপাতত আমরা ঢাকাতে কিট জমা করছি। যখন যেই এলাকায় প্রয়োজন, তখন সেই এলাকায় প্রয়োজনের ভিত্তিতে আমরা এই কিট সরবরাহের চেষ্টা করছি।"

এই কিটের বড় একটি অংশ চীন থেকে আসতো এবং বর্তমানে চীনের অনেক জায়গা নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ভবিষ্যতে কিটের সঙ্কট থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন আইইডিসিআরের পরিচালক।

"এই মুহুর্তে কিটের সঙ্কট নেই, তবে আমাদের আরো প্রয়োজন আছে।"






বিভিন্ন প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দূরারোগ্য ব্যধি কিংবা মহামারী থেকে একমাত্র আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়াটাই সর্বোত্তম পন্থা।

এমন পরিস্থিতিতে সব সময় এ দোয়াটি পড়ার অভ্যাস করা সমীচীন, যা রাসুল (সা) শিখিয়ে দিয়েছেন:

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুন
ওয়াল ঝুজাম ওয়া মিন সায়্যিল আসক্বাম।’
-সূনানে আবু দাউদ, সূনানে তিরমিজি

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দূরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই।’

তিরমিজিতে এসেছে, আরও একটি দোয়া পড়তে বলেছেন রাসুলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ _সূনানে তিরমিজি





চীনের উহান থেকে বিশ্বের অন্তত ১৬৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এতে মারা গেছেন ৭ হাজার ৯৬৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ জন।

করোনাভাইরাসের কারণে জাপান থেকে ফেরার পর ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খান। নিজেকে বন্দি করে রেখেছেন এই তারকা।

গত ১৪ মার্চ ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় প্রযোজক, পরিচালক ও কনসার্টের আয়োজক-আমি আমার সব কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ হলো এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমাধান। আশাকরি, আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।’
এদিকে, আজ বুধবার তার একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেয়ার কথা ছিল। আগামী সপ্তাহেও তার নাটকের কাজ ছিল। তবে পরিচালকদের তিনি নিজের অপারগতার কথা জানিয়ে দিলেন। বললেন, ‘এখন কাজের সময় নয়; নিজেদের বাঁচানোর সময়।’






গাজীপুরের কোয়ারেন্টিন থেকে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে আটজনকে পাঠানো হয়। তাঁদের সবার শরীরে জ্বর ছিল। তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম তরিকুল ইসলাম ও গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান ইতালিফেরত একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।


সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) গতকাল মঙ্গলবার জানায়, দেশে মোট ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর গাজীপুরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে এই সংখ্যা ১১ জন হলো।


গাজীপুরের ডিসি বলেন, গাজীপুরে কোয়ারেন্টিনে থাকা সবাই ইতালিফেরত ছিলেন। গত রবি ও সোমবার দুই দফায় আটজনকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এস এম তরিকুল ইসলাম আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য জেলার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেন, গাজীপুরের পুবাইলের মেঘডুবি ২০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন মেডিকেল অফিসার, দুজন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে এখানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ জন।

Prockash.com

facebook#https://www.facebook.com/hmmasudul

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget